আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতি ও সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমস্যাগুলো কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখা, আমাদের সরকার কিন্তু তা করছে না। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।রোববার (২৫ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সরকারগুলোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটা সময় আমাদের দেশে ছিল কী? যতই দুর্নীতি হোক, যতই অন্যায় হোক সেগুলো ধামাচাপা দেওয়া হতো। আর সমস্যাগুলো ওই যে বলে কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখা, আমাদের সরকার কিন্তু তা করছে না।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থেকে টানা তিন মেয়াদের সরকার গঠনকারী প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যেখানে দুর্নীতি পাচ্ছি সে আমার যত বড় দলের হোক, কর্মী হোক যেই হোক- আমরা কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছি। হ্যাঁ তাতে আমাদের বিরোধী যারা তাদের লেখার সুযোগ হচ্ছে, বলার সুযোগ হচ্ছে। যে আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করছে। কিন্তু এই ব্যাপারে চিন্তা করছে যে আওয়ামী লীগ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না। সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতির সংবাদের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে যে রিপোর্ট হচ্ছে বা যা আমরা খবর পাচ্ছি কোথাও কোনো দুর্নীতি বা কোনো ধরনের অন্যায় হলে আমরা কিন্তু কখনো এই চিন্তা করি না- এটা করলে পরে এর সঙ্গে আমার দল জড়িত কিনা বা আমার অমুক জড়িত কিনা, বদনাম হবে কিনা, সরকারের বদনাম হবে কিনা সে চিন্তাটা আমরা করি না।
‘আমি চিন্তা করি এখানে অন্যায় হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা নিতে গিয়ে অনেক সময় দোষটা আমাদের ওপরই এসে পড়ে। তার মানে আওয়ামী লীগ সরকারই বোধহয় দুর্নীতি করছে, ঘটনা তা নয়। ’
৭৫ এর পর অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা দেশের দুর্নীতির বীজ বপন করে গেছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতির বীজ বপন করে গেছে ৭৫ এর পর অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলকারী সরকারগুলো। প্রথমে জিয়াউর রহমান, এরপর এরশাদ, এরপর খালেদা জিয়া। তারা দুর্নীতিটাকে শুধু প্রশয় দেওয়া না, তারা নিজেরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিল, দুর্নীতিকে লালনপালনই করে গেছে। একই সঙ্গে তারা সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ করেছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর আমরা কিন্তু কখনো তা করছি না।
গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্রান্তে থেকে রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি, উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান সরদার।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও ডিআরইউর সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি শাহেদ চৌধুরী, উদযাপন কমিটির কো-চেয়ারম্যান, ডিআরইউর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ফিরোজ, উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডিআরইউর সহ-সভাপতি নজরুল কবির, ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী, ডিআরইউর সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান।