সাতদিন পর রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সূচনা ও তার ছোট ভাইয়ের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। শনিবার (৩ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে মরদেহ দুটি নদীতে ভেসে ওঠে।এরপর স্থানীয়রা মরদেহ দুইটি নদী থেকে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসে। বর্তমানে মরদেহ দুইটি সেখানে রাখা আছে।রাজশাহী নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে নিহত দুই জনের মামা ও চাচা রয়েছেন।
রাজশাহীর পবা উপজেলায় পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ সাদিয়া ইসলাম সূচনা ও রিমনকে দুই দিন পরও পাওয়া না যাওয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণা করে।
রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, আমরা দুইদিন ধরে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছি, কিন্তু দুঃখজনক কাউকে পাওয়া যায়নি। সেজন্য দুর্ঘটনা এলাকার অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। আমরা নদীতে মাছ ধরা জেলেসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করেছি। তাদের বলেছি কোথাও মরদেহ ভাসতে দেখলে আমাদের খবর দিতে।
এর আগে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় একটি ছোট নৌকা। ১৩জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম সূচনা ও তার চাচাতো ভাই রিমন নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মহানগরীর দামকুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে নৌ পুলিশ। শনিবার ভোরে যেখানে নৌকাডুবি ঘটেছিল সেই স্থানেই তাদের দুই জনের অর্ধগলিত মরদেহ ভেসে ওঠে।
নিখোঁজ সাদিয়া ইসলাম সূচনা আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) বিবিএ তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী। থাকেন ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায়। তিনি পবা উপজেলার খোলাবোনা এলাকায় চাচা জালাল উদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। নিখোঁজ অন্যজন সূচনার চাচাতো ভাই রিমন। তার বাড়ি নওগাঁয়। সে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।