ঢাকা, শনিবার ১৪ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আ.লীগের বিচার চায় জামায়াত

স্টাফ রিপোটার।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-08-29, 12.00 AM
বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আ.লীগের বিচার চায় জামায়াত

মানবতাবিরোধী অপরাধে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের বিচার করতে জাতিসংঘকে পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, স্বৈরাচার সরকারের শাসনামলে যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে গণহত্যা হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত করার জন্য জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলগুলোকে বলেছি।  তিনি আরও বলেন, এ বিচার করার জন্য একটা স্পেশাল  ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোট (আইসিসি)'র কতিপয় আইন সংশোধনের মাধ্যমে ‘ক্রাইম এগেন্টস হিউম্যানিটি’ নামের একটি ট্রাইব্যুনাল করে, সঠিকভাবে যেন এর সঠিক বিচার করা যেতে পারে সে বিষয়ে তারা যেন বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করে সে বিষয়ে আমরা অনুরোধ করেছি।বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৩টায় জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ। ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, বর্তমান সরকারের উপদেষ্টার অনুরোধে জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটসের একটি ফেক্ট চেকিং টিম বাংলাদেশে সফর করছে। তারা বাংলাদেশের বেশ কয়েকদিন ধরে অবস্থান করছে। বিভিন্ন দলের সঙ্গে গ্রুপের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। এ টিম আগামী শনিবার চলে যাবে। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামকে তারা আমন্ত্রণ করেছে, সে আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আজকে আমাদের সঙ্গে কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ফ্যাট ফাইন্ডিং টিম চলে যাওয়ার পর আরেকটি টিম বাংলাদেশে আসবে জানিয়ে ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, কীভাবে বাংলাদেশে এসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে, সেগুলোর বিচার কীভাবে হবে সে বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য পরবর্তী টিম আসবে। বিগত স্বৈরাচারী সরকার কীভাবে দেশের জনগণ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর অত্যাচার চালিয়েছে কীভাবে গুম হত্যা করেছে, সে বিষয়ে জাতিসংঘ থেকে আসা টিম আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছিল। আমরা সে তথ্য তাদের দিয়েছি।

 

জামায়াতে ইসলামীর এ নায়েবে আমির বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সময় স্বৈরাচার সরকারের কারণে যেসব সেনা সদস্যরা নিহত হয়েছেন, সে বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলকে আমরা তথ্য দিয়েছি। পাশাপাশি হেফাজতের শাপলা চত্বরের সমাবেশে যে গণহত্যা হয়েছিল সেই বিষয়েও তথ্য দিয়েছি।