ঢাকা, বুধবার ৮ই জানুয়ারি ২০২৫ , বাংলা - 

খেলাপি ঋণ ৬ লাখ কোটি ছাড়িয়ে যাবে

স্টাফ রিপোটার।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2025-01-07, 12.00 AM
খেলাপি ঋণ ৬ লাখ কোটি ছাড়িয়ে যাবে

প্রকৃত খেলাপি ঋণ ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা। তিনি বলেন, আগে খেলাপি ঋণের তথ্য লুকানো হতো, এখন লুকিয়ে রাখা সব তথ্য প্রকাশের চেষ্টা চলছে।পুরো তথ্য সমনে এলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে গত পাঁচ মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে, ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন হয়েছে, ডলার বাজারের স্থিতিশীলতা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়ে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে কিছু সুফল পাওয়া গেছে, কিছু ফলাফল আসতে আরও সময় লাগবে। কিন্তু আর্থিক খাতে এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক খুব বেশি খুশি নয়।তবে আর্থিক ভীতি কেটে গেছে বলেও মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই একাধিকবার নীতি সুদহার বাড়িয়েছি। আশা করছি জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। না এলে হয়তো আবার নীতি সুদহার বাড়ানো হতে পারে। তবে এই বিষয়ে ব্যবসায়ীরা মোটেই খুশি নন। কারণ, ব্যাংক ঋণের জন্য তাদের অতিরিক্ত সুদ গুনতে হয়। বিনিয়োগেও ধীরগতি নেমে আসে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাগুলোর ঠিকঠাক কাজ করা প্রয়োজন।

বিনিয়োগ হ্রাসের জন্য শুধু সুদের হার এককভাবে দায়ী নয়। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জ্বালানি সরবরাহ, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ আরও অনেক কিছু বিনিয়োগ বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক প্রচেষ্টায় মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি কমানো সম্ভব নয়, বলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই মুখপাত্র।২০২৫ সালের শেষ নাগাদ দেশের কোন ব্যাংকের মাধ্যমে কত টাকা কোন দেশে পাচার হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানা যাবে উল্লেখ করে হুসনে আরা শিখা আরও বলেন, পাচারের টাকা ফেরত আনা একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। নির্ধারিত সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা এই বিষয়গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে না।সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র ও ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী এবং ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিকেশনসের পরিচালক সাঈদা খানম উপস্থিত ছিলেন।