ঢাকা: বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “যে নয়টি হলে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছিল, তার প্রত্যেকটি হলই এখন খালি। হল থেকে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষ হলগুলো বন্ধ করে দেয়।”আগের দিনই এ নয়টি হলের পাঁচটি শিক্ষার্থী শূন্য হওয়ায় সেদিনই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি হলই বন্ধ রয়েছে।
তবে কর্তৃপক্ষ হল খালি করলেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের এক প্রতিনিধি তাবিয়া ইসলাম সাংবাদিকের বলেন, “আমরা এখনও আমাদের অবস্থান থেকে সরে আসিনি। আজকে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।”হল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেরিয়ে আসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তাবিয়া বলেন, “এ ব্যাপারে কিছুই বলার নেই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আসম ফিরোজ উল হাসান বলেন, “শিক্ষার্থীরা যদি সরকারি নির্দেশ না মেনে আবারও আন্দোলনে নামে তাহলে সেটা অপ্রত্যাশিত হবে। আমরা অনুরোধ করব, তারা যেন এ রকম অপ্রত্যাশিত কাজ না করে। আমরা আশাবাদী শিক্ষার্থীরা হল ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ক্ষেত্রে সরকারকে সময় দেবে।“হল খোলা ব্যতীত শিক্ষার্থীদের বাকি দাবিগুলোর মধ্যে চিকিৎসার ব্যয়ভার কর্তৃপক্ষ বহন করবে। অন্য দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।”