ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

ঢাবি’র তিন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ষ্টাফ রিপোটার।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-05-08, 12.00 AM
ঢাবি’র তিন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও একজনের বিরুদ্ধে পিএইচডি জালিয়াতির অভিযোগের সত্যতাপাওয়া গিয়েছে। এরা হলেন অধ্যাপক ফেরদৌস, অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদ ও পিএইচডি জালিয়াতির সাথে জড়িত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন । জানাযায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থীর যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তথ্যানুসন্ধান কমিটি। বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য হাইকোর্ট নির্দেশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (০৭ মে) উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। নাম না লেখার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলকে ২ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তকালীন অধ্যাপক ফেরদৌসকে সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিতেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌস। সেই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থী তার বিরুদ্ধে বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। পরে বিভাগ থেকে অভিযোগটি উপাচার্যের বরাবর পাঠানো হয়। গত ৩১ মার্চ অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। কমিটির বাকিরা হলেন- হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ।

 

ড. নাদির জুনাইদ

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তথ্যানুসন্ধান কমিটি। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তদন্তকালীন অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এ বছরের ৩ মার্চ একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ দুই মাস পর প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

 

প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হওয়ায় গতকাল (৬ মে) সংবাদ সম্মেলন করে ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। একইসাথে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের এ সংবাদ সম্মেলন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সিন্ডিকেট সদস্যদের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে বলে উপাচার্য বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন অধ্যাপক নাদির জুনাইদ। তবে চিঠির বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।  

 

নাম না প্রকাশের শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য  জানান, তথ্যানুসন্ধান কমিটি যৌন নিপীড়নের অভিযোগ পাওয়ায় বিষয়টি হাইকোর্ট নির্দেশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে পাঠানো হয়েছে। যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন।  তিনি আরও বলেন, গতকাল ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি সংবাদ সম্মেলন করে। এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সিন্ডিকেটের ওপর চাপ তৈরি করবে বলে উপাচার্য বরাবর নাদির জুনাইদ একটি চিঠি দিয়েছেন।  

 

পিএইচডি জালিয়াতি

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের   বিরুদ্ধে এমফিলের নকল করে পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।  মঙ্গলবার (৭ মে) উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  নাম না প্রকাশের শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছিরকে প্রধান করা হয়েছে। বাকি সদস্যরা হলেন - মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম জাবেদ আহমদ। কমিটিকে এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।  উল্লেখ্য, গবেষণা নীতি অমান্য করে একই গবেষণা দিয়ে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি গ্রহণের অভিযোগে ওঠে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিনের বিরুদ্ধে। লেখার শিরোনাম পাল্টে আগের অংশ পরে ও পরের অংশ আগে জুড়ে দিয়ে তিনি এই ডিগ্রি নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।