তিন বছর ধরে থার্ড ইয়ারে আছি। ২০১৯ সালের পরীক্ষা আমরা ২০২১ সালে এসে দিচ্ছি।আমাদের বন্ধুরা প্রাইভেটে পড়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে জবে ঢুকে গেছে। আর আমরা অর্ধেক পরীক্ষা দিয়ে আবারও আটকে গেলাম। আমরা চাই চলমান পরীক্ষা নির্ধারিত শিডিউলে নেওয়া হোক।বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নীলক্ষেত অবরোধ চলাকালে ঢাকা কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের তৌকির আহমেদ নিজেদের শিক্ষাজীবন দীর্ঘ হওয়ার কথা বলছিলেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৫-১৬ সেশনের ২৪ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষাটা বাকি ছিল। কিন্তু গতকাল আকস্মিক নোটিশে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার ফলে অর্নাস কমপ্লিট হলো না। অপরদিকে ২০১৬-১৭ সেশনের ২৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ৩, ৬ মার্চ পরীক্ষা ছিল।
তিতুমীর কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের কুতুব উদ্দীন বলেন, আমরা একমাস ধরে পরীক্ষা দিচ্ছি। তখন করোনা হলো না। কোন যুক্তিতে আজকের পরীক্ষা স্থগিত হলো। আমরা অনতিবিলম্বে পরীক্ষা দিয়ে গ্র্যাজুয়েশান শেষ করতে চাই।
কর্মসূচি পালনকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। দাবি মোদের একটাই, পরীক্ষা চাই। পরীক্ষা কেন স্থগিত প্রশাসন জবাব চাই, রক্ত চাইলে রক্ত নিন তবুও পরীক্ষা নিন। শিক্ষার্থীদের কয়েকজন কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় শুয়ে পড়ে। বুকে লাল কালিতে লেখা ‘পরীক্ষা নাও, না হয় জীবন নাও’।