সৌদিতে চাকুরীরত অবস্থায় মরে যাওয়া ছেলের লাশ দেশে না নিয়ে আসতে পারায় পরিবারে চলছে প্রচন্ড আহাজারি। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চেয়ে পরিবারের আকুতি কখন আসবে শুভ’র লাশ বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরশহরের ঈদগাহ বস্তিতে।জানা গেছে, গত ৩ মাস পূর্বে চাকুরীর জন্য সৌদি আরবে পাড়ি জমায় ঈদগাঁও বস্তির রেজাউল করিমের ছোট ছেলে শুভ (২০)।
সৌদি আরবে আলমাদানী আলকাশিম এলাকার একটি পল্টি ফার্মে চাকুরী করতো শুভ। চাকুরীরত অবস্থায় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে কোম্পানীর লোকজন সৌদি আরবের আলকাশিম বুনাইদা জেনারেল হাসপাতালে শুভকে ভর্তি করান।
এবং শুভ গত মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
এরপর পেরিয়ে গেলেও শুভর লাশ সপ্তাহ দেশে না আসায় পরিবারে চলছে কান্নাররোল।
শুভ’র মা সুফিয়া বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,"সন্তানের মুখ শেষবারের মতো দেখতে পাবো কিনা মাবুদ জানে ? বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুতি আমার সন্তানকে দূতাবাসের মাধ্যমে দেশে ফিরে এনে শেষ দেখা টুকু দেখতে পেলে আমি মরেও শান্তি পাবো।"
এদিকে শুভর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিন রেজাউলের বাড়িতে শতশত মানুষ ভিড় জমাচ্ছে। আত্বীয় স্বজনরা ও অপেক্ষা করছে
কখন আসবে শুভ’র লাশ বাড়িতে।
এ ব্যাপারে রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম জাহিদ ইকবাল গতকাল রবিবার ৬ নভেম্বর রাতে জানান, আমরা খবর পেয়েছি। সৌদি প্রবাসির মৃত্যুর বিষয়ে জনশক্তি ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে সৌদি দূর্তাবাসে আবেদন করে লাশ আনা সম্ভব। এবিষয়ে শুভ’র পরিবারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।