দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বদা প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই, কারণ শান্তি ছাড়া কোন দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়, যুদ্ধ ধ্বংস ডেকে আনে, আমরা ধ্বংসের পথে যেতে চাই না। কিন্তু কেউ যদি আক্রমণ করে বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে।রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ (প্রথম পর্ব) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এখন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে। আমার একটা লক্ষ্য ছিল যে আমাদের শান্তিরক্ষা বাহিনীকে যেহেতু বিশ্বের অন্যান্য দেশের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সাথে চলতে হয়, কাজ করতে হয় তাই প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন উন্নত দেশের শান্তিরক্ষা বাহিনী গুলোর সাথে আমাদের বাহিনীগুলো যেন সমানতালে চলতে পারে সেভাবেই গড়ে তোলা। এমনকি পদ পদবিগুলো আমি পরিবর্তন করে দিয়েছিলাম যেন ঠিক সমানতালে চলতে পারে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সেনা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে যেন তাল মিলিয়ে আমরা চলতে পারি সেই প্রস্তুতিও আমাদের থাকতে হবে।
সেজন্য সব সময় প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জামাদি সবদিক থেকে আমাদের যতটুকু সক্ষমতা আছে সেটা নিয়েই প্রশিক্ষণ ও অন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন হতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংক আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল। আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। আমি সিদ্ধান্ত নিই যে তাদের অর্থ ছাড়াই আমরা নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ করব। এই একটা সিদ্ধান্ত সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি যে আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে কিন্তু আমাদের ইচ্ছা ও মানুষের ভালোবাসা থেকে যে কাজ করতে পারি সেই প্রমাণ আমরা রেখেছি। আজ পদ্মা সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মধ্যে অনেকে কর্তব্য পালনে অনেক দক্ষতার পরিচয় দেয়, তারা যেন অবহেলিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।