আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় এই জোড়া আত্মঘাতী হামলায় এ পর্যন্ত ১৩ মার্কিন সেনা ও ২৮ তালেবান সদস্যসহ কমপক্ষে ১৭৫ জন নিহত হয়েছেন।জঙ্গি সংগঠন আইএস খোরাসান এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। ভয়াবহ এই হামলার এক দিন পার না হতেই (আইএস)কে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শুক্রবার কাবুলের পূর্বাঞ্চলীয় নানগরহর প্রদেশের একটি স্থানে এই ড্রোন হামলা চালানো হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে- প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য বলছে, যাকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে, তাকে হত্যা করা সম্ভব হয়েছে। তবে কোনো সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর তথ্য জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার কাবুলে ভয়াবহ বোমা হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলাকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যারা আমেকিার ক্ষতি চায়, তারা জেনে রাখুন, আমরা ক্ষমা করবো না। আমরা ভুলবোও না। তিনি বলেন, আমরা তাদের খুঁজে বের করবো। তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে।
এ সময় পেন্টাগনকে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালানোর নির্দেশও দেন তিনি।
এদিকে এই হামলার জন্যও, তালেবান দায়ি করছে মার্কিন সেনাদের। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন সেনারা।
এছাড়া তালেবান আগেই হুঁশিয়ারি করেছে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করে নিতে হবে।