ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

আ’লীগে সুযোগসন্ধানী’র অনুপ্রবেশ ঘটছে

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-08-04, 12.00 AM
আ’লীগে সুযোগসন্ধানী’র অনুপ্রবেশ ঘটছে

ফের আলোচনায় আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ ও ভুঁইফোড় সংগঠনের বিষয়টি। অনেক চেষ্টা করেও দলটিতে সাহেদ করিম-শামীমা নূর পাপিয়া-হেলেনা জাহাঙ্গীরদের মতো সুবিধাবাদীদের উত্থান থামানো যাচ্ছে না। দিন দিন এ নিয়ে বাড়ছে বিতর্ক। কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি, অস্বীকৃত সংগঠন ও কিছু নেতার ওপর দায় চাপিয়ে ক্ষ্যান্ত অনেকে। আবার অনেকে ঢালাও দায় চাপানোর বিরুদ্ধেও। এ বিতর্কের সমাধানও সহজ নয় বলে মনে করেন ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা।

নেতারা বলছেন, অনেকেই দল ও দেশকে ভালোবেসেই সংগঠন করেন। মূল দলে জায়গা না পাওয়ায় হয়তো নতুন সংগঠন করেছেন। অনেকে আবার দল ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নিয়ে চাঁদাবাজি-প্রতারণা-দখলবাজিতে ব্যস্ত। গণতান্ত্রিক দেশে এটির সমাধান সহজ নয়। দেখে-শুনে-বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একটি অংশের দাবি, ‘ক্ষমতার মধু’ খেতে উড়ে এসে জুড়ে বসা লোকদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন দলীয় নেতারাই। আবার ‘প্রয়োজন ফুরালে’ দায়িত্বও এড়িয়ে যান তারা। জানা গেছে, ইতোমধ্যে ৭৩টি ভুঁইফোড় সংগঠনের তালিকা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি এসব সংগঠনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে যারা নানা অপকর্ম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেয়া শুরু হয়েছে।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গঠনতন্ত্র ঘোষিত সংগঠনের বাইরে আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠন নেই। ‘লীগ’ বা ‘আওয়ামী’ শব্দ যোগ করলেই আওয়ামী লীগের সংগঠন হওয়া যায় না। হওয়ার সুযোগও নেই।

গঠনতন্ত্র অঘোষিত কয়েকটি সংগঠনের নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের বাইরে দুই ধরনের সংগঠন আছে। কারও সরকারি নিবন্ধন আছে, কারও নেই। এর মধ্যে একটি পক্ষ যেমন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে আদর্শিক কাজে ব্যস্ত থাকে, তেমনি বিরোধী দলে থাকাকালেও রাজপথে সক্রিয় থাকে। আরেকটি পক্ষ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সক্রিয় হয়ে চাঁদাবাজি, তদবিরবাজি এবং প্রতারণায় ব্যস্ত হয়ে পড়লেও প্রতিকূল সময়ে হারিয়ে যায়। এই দুই শ্রেণিকে এক করলে আদর্শিক শ্রেণির ওপর অন্যায় হবে।

আওয়ামী লীগ জাতীয় আস্থার প্লাটফর্ম। প্রথাগত রাজনৈতিক কর্মীর পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকের আওয়ামী লীগ সমর্থন করার, সদস্য হওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার সময় ভালো মানুষের পাশাপাশি কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটছে। এটিই বড় সমস্যা। এ সুযোগসন্ধানীরা আমাদের কারও কারও দ্বারা লালিত হচ্ছে। তারা গুটিকয়েক ব্যক্তি মিলে নানা ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করেন এবং সেসব কর্মসূচিতে সরল বিশ্বাসে আমাদের কিছু প্রচারপ্রিয় নেতা অংশ নিয়ে এসব ধান্ধাবাজকে সামাজিক ও দলীয় স্বীকৃতি দিচ্ছেন

আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে সক্রিয় ছিল, এমন কিছু সংগঠনের একাধিক নেতা বলছেন, ‘বিরোধী দলে থাকাকালে বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে আমরাই ছিলাম মাঠে। সেসময় দলের সাধারণ সম্পাদক, প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ মূল দলের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা এসেছেন আমাদের প্রোগ্রামে। বাহবাও দিয়েছেন। দল ক্ষমতায় যাওয়ায় আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। এখন আমাদের ছুড়ে ফেলে দেয়।’

আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদ এবং শামীমা নূর পাপিয়াসহ কতিপয় লোকের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা সমালোচনা হয়েছে। সম্প্রতি ‘চাকুরিজীবী লীগ’ নামে একটি ভুঁইফোড় সংগঠনের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হেলেনা জাহাঙ্গীরের সরব হওয়া নিয়ে সমালোচনা ওঠে। পরে তাকে উপ-কমিটি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এরপর র্যাব হেলেনার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়।

এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই নড়েচড়ে বসেছে আওয়ামী লীগ। ৭৩টি ভুঁইফোড় সংগঠনের নামের তালিকা করার পর তাদের কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংগঠনের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে যারা নানা অপকর্ম করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করি, কিন্তু গঠনতন্ত্র স্বীকৃত নয়, এটা ঠিক। আমাদের সরকারের রেজিস্ট্রেশন আছে। অনেক সংগঠনের রেজিস্ট্রেশনও নেই, দলেরও স্বীকৃতি নেই। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় ধরা কে সরা জ্ঞান করে। সাইনবোর্ড দেখিয়ে তদবির-প্রতারণা করে টাকা কামাচ্ছে। কিন্তু বিরোধী দলে গেলে এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা সরকারে ও বিরোধী দলে উভয় সময়ে সরব থাকি। ওদের সঙ্গে আমাদের তুলনা করলে, আমাদের ওপর অবিচার হবে

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯০ এর দশক থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের অনেকে গঠনতন্ত্র অস্বীকৃত এই সংগঠনের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন। যার বহু ছবি এখনো অনলাইনে আছে। দুঃসময়ের সহযোগী শক্তি হিসেবে কাজ করা সেসব সংগঠনের কর্মসূচিতে যারা যোগ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, প্রয়াত নেতা আবদুর রাজ্জাক, প্রয়াত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান, সাবেক মন্ত্রী ও অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ অন্যতম। এমন কিছু সংগঠনের কর্মসূচিতে বা কার্যক্রমে অনেক মন্ত্রী ও নেতাকে এখনো অংশ নিতে দেখা যায়।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ১৩/১৪টা সংগঠন স্বীকৃত। এর বাইরে সব ৩০/৪০/৫০ যত সংগঠনই আছে, সব ভুয়া।’

স্বীকৃতদের বাইরে অনেকে সরকারে ও বিরোধী দলে থাকাকালে আন্দোলন করেছেন, তাদের দাবি, সুসময়ে তাদের ডাকা হয়, দুঃসময়ে অস্বীকার করা হয়। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফারুক খান বলেন, ‘আন্দোলন সংগ্রামে বাংলাদেশের অধিকাংশ গণতন্ত্রকামী মানুষই কাজ করেছেন, এর জন্য সংগঠন করার প্রয়োজন নেই। যেটার প্রয়োজন পড়েছে, সেগুলোকে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। তবে এটাও সত্য, অনেক সংগঠন আমাদের দল, দেশ ও মানুষকে ভালোবাসে। যখনই তারা আমার কাছে এসেছে, আমি বলেছি, আপনারা গঠনতন্ত্র তৈরি করে পার্টি অফিসে সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দেন। তিনি এটা দেখে কেন্দ্রীয় কমিটিতে আনবেন। আলোচনার মাধ্যমে আমরা যদি স্বীকৃতি দেই, তখন আপনারা কার্যক্রম শুরু করবেন।’

কিন্তু ব্যত্যয় হয় কেন, এর সমাধান কী? জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এ নেতা বলেন, ‘এটার সহজ সমাধান আছে বলে আমি মনে করি না। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে তো মার্শাল ল’ জারি, ডাণ্ডা মেরে ঠাণ্ডা করতে পারবেন না। কারণ এখানে দু’ধরনের লোক আছে; কিছু আছে সুযোগসন্ধানী; যারা ‘আওয়ামী’ বা ‘লীগ’ যুক্ত করে সংগঠন দিয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা বদনাম করে। আবার কয়েকজন আছেন প্রকৃতার্থেই দল ও দেশকে ভালোবাসে, হয়তো মূল সংগঠনে জায়গা না পেয়ে একটা সংগঠন করেছেন। তাদের কোনো কোনো অনুষ্ঠানে আমাদের কোনো কোনো নেতাও গেছেন। তারা বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী ও বিজয় দিবসসহ নানা দিবস উদযাপন করেন।

আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমার মনে হয়, এ ব্যাপার নিয়ে আমাদের আরও চিন্তা করতে হবে। দেখতে হবে তারা প্রকৃতার্থেই দল ও দেশের কাজ করে, নাকি নামকাওয়াস্তে সংগঠন করে চাঁদাবাজি-দখলবাজি করে, এগুলো বুঝে-শুনে আরও বড় করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন  বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জাতীয় আস্থার প্লাটফর্ম। প্রথাগত রাজনৈতিক কর্মীর পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকের আওয়ামী লীগ সমর্থন করার, সদস্য হওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু ক্ষমতার সময়ে ভালো মানুষের পাশাপাশি কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ঘটছে। এটিই বড় সমস্যা। এ সুযোগসন্ধানীরা আমাদের কারও কারও দ্বারা লালিত হচ্ছে। তারা গুটিকয়েক ব্যক্তি মিলে নানা ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করে এবং সেসব কর্মসূচিতে সরল বিশ্বাসে আমাদের কিছু প্রচারপ্রিয় নেতা অংশ নিয়ে এসব ধান্ধাবাজকে সামাজিক ও দলীয় স্বীকৃতি দিচ্ছেন।’

তিনি মনে করেন, ‘এ সমস্যা সমাধানের প্রথম পদক্ষেপ হতে হবে পদস্থ নেতা ও মন্ত্রী সাহেবদের সাবধান হওয়া, যত্রতত্র সব ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নেয়া ও যার-তার সঙ্গে ছবি তোলা বন্ধ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ ও প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অধিকতর সচেতন ও যতœবান হতে হবে। সব কর্মসূচিতে নেতাদের বক্তৃতার সময় পেছনে এক ঝাঁক ব্যক্তির দাঁড়িয়ে থাকার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। রাজনীতিতে নবাগতদের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবিনাশী আদর্শ সঞ্চারিত করতে হবে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও পরে যুগ্ম-সম্পাদক আবদুল হক সবুজের নেতৃত্বে আওয়ামী সমর্থক জোট নামে ৩৬টি সংগঠন আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে ছিল। আওয়ামী লীগের যখন দুঃসময়ে ছিল, তখন এমন প্রচুর সংগঠন দেখেছি, যারা প্রতিদিন কোনো না কোনো কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে ছিল। ওই দুঃসময়ে নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা), প্রয়াত সাধারণ সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান থেকে শুরু করে তাদের কর্মসূচিতে কে যাননি?’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ হকার্স লীগ, ছিন্নমূল হকার্স লীগ, বাস্তুহারা লীগ, রিকশা শ্রমিক লীগ, প্রজন্ম লীগ, মুক্তিযোদ্ধা লীগ, সৈনিক লীগ, যুব পরিষদ, আওয়ামী যুব পরিষদ, বাস্তুহারা লীগ, প্রজন্ম ৭১-সহ মোট ৩৬টি সংগঠনের সমন্বয়ে সম্মিলিত আওয়ামী সমর্থক জোট ছিল। ক্রাইসিসে তাদের ব্যবহার করা হয়েছে। এখন তো ক্রাইসিস নেই, তাদের মূল্যায়নও নেই। দল চায় না বলে এগুলো এখন নিষ্ক্রিয়। তবে যারা ধান্ধা করতে পারে, করে। যারা পারে না, তারা আসেও না। কিন্তু দুই পক্ষকে তো মিলিয়ে ফেললে চলবে না।’

বাংলাদেশ হকার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক ও হকার্স ফেডারেশনের চেয়ারম্যান এম এ কাশেম বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করি, কিন্তু গঠনতন্ত্র স্বীকৃত নয়, এটা ঠিক। তবে আমাদের সরকারের রেজিস্ট্রেশন আছে। অনেক সংগঠনের রেজিস্ট্রেশনও নেই, দলেরও স্বীকৃতি নেই। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় ধরা কে সরা জ্ঞান করে। সাইনবোর্ড দেখিয়ে তদবির-প্রতারণা করে টাকা কামাচ্ছে। কিন্তু বিরোধী দলে গেলে এদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর আমরা সরকারে ও বিরোধী দলে উভয় সময়ে সরব থাকি। ওদের সঙ্গে আমাদের তুলনা করলে, আমাদের ওপর অবিচার হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমার আইডিতে গেলে অনেক ছবি পাবেন। ’৯০-এর দশক থেকে আমরা সক্রিয়। আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ তৎকালীন বহু নেতা আমাদের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। আমরাও সাংগঠনিকভাবে মূল দলের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি।’