পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে প্রকাশ্য রাস্তায় মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার ‘পলাতক’ আসামি কামরুল ইসলাম শিকদার মুসার স্ত্রী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মুসা বাবুল আক্তারের সোর্স ছিলেন।সোমবার (৩১ মে) চট্টগ্রাম মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।এ বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষী হিসেবে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার অন্যতম আসামি মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার। তবে জবানবন্দির কপি এখনো হাতে পাইনি।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় সড়কে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু। এ ঘটনায় মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। প্রায় ৫ বছর পর গত ১২ মে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মিতু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। একইদিন বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে নতুন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। বাবুল আক্তার ছাড়া মামলার বাকি সাতজন আগের মামলাতেও আসামি ছিলেন।
মামলা দায়েরের পর মুসার স্ত্রী পান্না বিভিন্ন মিডিয়ায় দাবি করেন, বাবুল আক্তারের চাপে পড়ে তার স্বামী মিতু হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। মিতু হত্যার ১৭ দিন পর তার স্বামীকে পুলিশ চট্টগ্রাম নগরীর কাঠগড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বলেও দাবি করেন পান্না।