
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র পথ হলো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “কয়েকজন মিলে আইন করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। যত সংস্কারই করা হোক, যত কৌশলই আবিষ্কার করা হোক, নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।”শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনে শহীদ নাজিরউদ্দিন জেহাদের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতৃবৃন্দও অংশ নেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী ও স্বাধীনতাপ্রিয়। তারা বারবার লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, রক্ত দিয়েছে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই লড়াইয়ে তারা বারবার হোঁচট খেয়েছে। তবে প্রতিবারই উঠে দাঁড়িয়েছে এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।”
বর্তমান সরকারকে একনায়কতান্ত্রিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “দানব হাসিনা দেশের সব কিছু তছনছ করে দিয়েছে— বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা— কোনো খাতই রক্ষা পায়নি।”
সম্প্রতি এসনিপ দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “ধানের শীষ প্রতীকের বিষয়ে বিএনপি কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যায়নি। কোন প্রতীক দেওয়া হবে, তা নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করবে। অযথা ধানের শীষ নিয়ে টানাটানি করার কারণ নেই। কারণ ধানের শীষ এখন জনগণের প্রতীকে পরিণত হয়েছে, সারা দেশে ধানের শীষের স্লোগান উঠেছে।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করছে। সেই সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আমরা আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব— জনগণের শক্তিই হবে আমাদের আসল ভরসা।”