ঢাকা, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫,
সময়: ০৭:০৬:২০ AM

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশায় সক্রিয় ৫১ সাবেক ছাত্রনেতা

ষ্টাফ রিপোটার।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম
02-10-2025 07:26:42 PM
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশায় সক্রিয় ৫১ সাবেক ছাত্রনেতা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। নির্বাচন কমিশন এখনো ভোটের তারিখ ঘোষণা না করলেও বিএনপিসহ বিভিন্ন দল নির্বাচনি প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এরই মধ্যে অনেক দল আসনভিত্তিক প্রার্থী প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে। তবে বিএনপি এখনো প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত না করলেও তরুণ, শিক্ষিত ও জনসম্পৃক্ত নেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এই কৌশলের অংশ হিসেবে সাবেক ছাত্রনেতাদের একটি বড় অংশ মনোনয়ন প্রত্যাশায় এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। প্রায় অর্ধশতাধিক সাবেক ছাত্রনেতা বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। তাদের অনেকেই বর্তমানে দলীয় বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কেউ নির্বাহী কমিটির সদস্য, কেউবা সম্পাদকমণ্ডলীতে যুক্ত আছেন। আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ, কারাবরণ কিংবা মামলার আসামি হওয়া—এসব অভিজ্ঞতাকে সামনে এনে তারা দলের হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।

তরুণ প্রার্থীর অগ্রাধিকার

বাংলাদেশের মোট ভোটারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তরুণ (১৮-৩৫ বছর বয়সী)। এই বিশাল ভোট ব্যাংককে সামনে রেখে বিএনপি এবার তরুণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে চায়। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “তরুণ নেতৃত্ব ছাড়া রাজনীতির ভবিষ্যৎ নেই। আমরা প্রার্থী বাছাই করছি জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততার ভিত্তিতে। তরুণরাই এবার বেশি অগ্রাধিকার পাবে।”

দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ শীর্ষ নেতারাও তরুণদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা সাজানোর কথা জানিয়েছেন। ফলে তরুণ প্রার্থীদের মধ্যেও মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদ বাড়ছে।

প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া

আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি এখনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা না দিলেও অভ্যন্তরীণভাবে প্রার্থী যাচাই-বাছাই, জরিপ, সাক্ষাৎকার ও তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। দলের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান, সাংগঠনিক ত্যাগ ও জনসম্পৃক্ততাই মনোনয়ন বাছাইয়ের মূল মানদণ্ড হবে।

আসনভিত্তিক প্রার্থী প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতারা

বিভিন্ন বিভাগে সাবেক ছাত্রনেতাদের প্রার্থিতা ইতোমধ্যেই আলোচনায় এসেছে—

  • ঢাকা বিভাগ: ঢাকা-৭ আসনে ইসহাক সরকার, রফিকুল ইসলাম রাসেল, মীর নেওয়াজ আলী; ঢাকা-১০ আসনে ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম; ঢাকা-১৫ আসনে মামুন হাসান; ঢাকা-১৮ আসনে এস এম জাহাঙ্গীর।

  • নারায়ণগঞ্জ-৪: মশিউর রহমান রনি।

  • নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জ: আকরামুল হাসান, আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ইকবাল হোসেন শ্যামল, মীর সরফত আলী সপু।

  • টাঙ্গাইল: জোবাইর আল মাহমুদ রিজভী, ওবায়দুল হক নাসির, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু।

  • সিলেট বিভাগ: তালহা চৌধুরী, শরীফুল হক সাজু, মাহবুবুর রহমান সরকার।

  • চট্টগ্রাম বিভাগ: রফি উদ্দিন ফয়সাল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, রফিকুল আলম মজনু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

  • খুলনা বিভাগ: রকিবুল ইসলাম বকুল, আজিজুল বারী হেলাল, রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণসহ অনেকে।

  • বরিশাল বিভাগ: রাজীব আহসান, নুরুল ইসলাম মাসুদ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল, নুরুল ইসলাম নয়ন, হাসান আল মামুন, মাহবুবুল হক নান্নু।

  • রাজশাহী বিভাগ: আমিরুল ইসলাম খান আলিম, হাসান জাফির তুহিন, রায়হানুল আলম রায়হান, ফজলুর রহমান খোকন।

  • ময়মনসিংহ বিভাগ: শহীদুল্লাহ ইমরান, করিম সরকার, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু।

  • ফরিদপুর বিভাগ: মাহবুবুল হাসান পিংকু, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সরদার নুরুজ্জামান, এস এস জিলানী।