ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোটার।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-02-18, 12.00 AM
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের মাধ্যমে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। কিন্তু যুদ্ধলিপ্ত দেশগুলোর জন্য তা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধে দেশগুলোর জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।’শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্স (এমএসসি) ২০২৪-এর সাইডলাইনে হোটেল বেয়েরিশার হফে এ দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন আমরা সব ধরনের যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আজ জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার সময় কীভাবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা যায়, সে বিষয়েও তিনি বারবার আলোচনা করেছেন। বৈঠকে তারা গাজায় নিরপরাধ নারী-পুরুষের ওপর হামলা কীভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে যুদ্ধ কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভোগ এবং তিনি নিজেও যে দুর্ভোগের শিকার হয়েছিলেন তার স্মৃতি স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলেনস্কির মধ্যে আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ স্পষ্টভাবে উঠে আসে বলেও জানান ড. হাছান মাহমুদ। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং যুদ্ধের পর বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তারা শুধু যুদ্ধ বন্ধের জন্য আলোচনা করেছেন।ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন- জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মো. নূর এলাহী মিনা।মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন ২০২৪-এ যোগ দিতে তিনদিনের সরকারি সফরে ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফর শেষে রোববার রাতে মিউনিখ ত্যাগ করে ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।