ঢাকা, রবিবার ২৮ই এপ্রিল ২০২৪ , বাংলা - 

আওয়ামী লীগ হচ্ছে চোরের ফ্যাক্টরী:রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-12-13, 12.00 AM
আওয়ামী লীগ হচ্ছে চোরের ফ্যাক্টরী:রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় থাকে দেশকে লুটপাট করে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে চোরের ফ্যাক্টরী। তাদের নেতা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, “সবাই পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি। আমার ডানে চোর, বাঁয়ে চোর, সামনে চোর, পিছনে চোর, চোর আর চোর। আমি বিদেশ থেকে যা কিছু আনি এই চোর চাটার দল সব খাইয়া ফেলায়।” গত দেড় দশকে শেখ হাসিনার বিনা ভোটের রাজত্বে তার মন্ত্রী-এমপি-বড় নেতা, ছোট নেতা, পাতি নেতা, খুঁদে নেতা সবাই লুটপাটের প্রতিযোগিতায় মত্ত হয়েছেন।আজ বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন,  দূর্নীতি, লুটপাট, নৈরাজ্যের স্বর্গ গড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা জনগণের ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো বসে ক্ষমতাকে “মধুর, তোমার শেষ যে না পাই, প্রহর হল শেষ এর পরামান্দের অনুভূতি নিয়ে উপভোগ করছেন। আর শেখ হাসিনা বলছেন, বিএনপি নাকি আগামী মার্চ মাসে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। কি হাস্যকর রঙ্গ-ব্যঙ্গ!! আসন্ন একদলীয় পাতানো নির্বাচন উপলক্ষে তাদের মন্ত্রী-এমপি-ডামী-উচ্ছিষ্টভাগী স্বতন্ত্রদের হলফনামা পড়লে মনে হয় যেন রুপকথার আলাদিনের চেরাগের কাহিনী পড়ছি। কারো কারোটা দেখলে মনে হয় সাদ্দাদের বেহেস্তে তারা বসবাস করছি। নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকারের ৫ বছর থেকে ১৫ বছরের মধ্যে মন্ত্রী-এমপি এবং তাদের নেতারা অর্থসম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। অনেকে প্রায় কপর্দকহীন থেকে আঙুল ফুলে কলাগাছ নয়, বটগাছ হয়েছেন। তাদের স্ত্রী-সন্তান-শাশুড়িরাও টাকার কুমিরে পরিণত হয়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ীদের লোকসান হলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতিকদের কোনো লোকসান নেই। আওয়ামী রাজনীতি এমন একটি ব্যবসা যেখানে কোন ঝুঁকি নেই এবং লোকসান হওয়ারও কোনো আশঙ্কা নেই। যে ব্যবসাই করছেন তাতেই লাভ আর লাভ। শেয়ার ব্যবসায় তারা কেউ ক্ষতির মুখোমুখি হননি। কৃষিখামার এবং মাছের ব্যবসাতেও বহু গুণ লাভ করেছেন। স্বামীদের ব্যবসা দেখাশোনা করতে গিয়ে স্ত্রীরাও কোটি কোটি টাকা, অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন।

 

তিনি বলেন, হলফনামা ধরে প্রতিদিন প্রাত্যহিক সংবাদপত্রে নির্বাচনের প্রার্থীদের সম্পদের যে বিবরণ প্রকাশিত হচ্ছে তা দেখে জনগণের চক্ষু চড়কগাছের অবস্থা। তারা ভাবতে থাকে, আমরা কি একটা বাস্তব জগতে বাস করছি? নাকে কল্পনার স্বর্গরাজ্যে বাস করছি! এটাও সম্ভব! একেকজন মানুষের সম্পদ ২০০ গুণ, ৩০০ গুণ, ৪০০ গুণ ৫০০ গুন, কেউ আবার পাঁচ বছরে ৭০০ গুণ সম্পদেরও মালিক হয়েছেন। অবস্থা এমন হয়েছে যে, টাকার পাহাড়ে ঘুমান মন্ত্রী এমপি-নেতারা। যে মন্ত্রী- এমপি নিজেকে কৃচ্ছতা সাধনের বরপুত্র বলে জাহির করতেন কিংবা যিনি জনসমুখে সততার পরাকাষ্ঠ প্রদর্শনের নাটক করতেন তাদের শঠতার বিভৎস বিগ্রহ জনগনের সামনে উন্মোচিত হয়েছে। যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাদের প্রায় সকলেরই নগদ অর্থকড়ি- বিত্ত সম্পদ দ্বিগুণ থেকে প্রায় হাজার গুন স্ফীত হয়েছে। আওয়ামী জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় কারো হয়েছে সম্পদের পাহাড় কারো গাড়ির বহর। দশ বছর আগে যে মন্ত্রীর হলফনামায় হাজারের ঘরে ছিল বার্ষিক আয় তিনিও  এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। সবাই জানি-তাদের হলফনামায় সম্পদের সামান্যই প্রকাশ পেয়েছে। অবৈধ অর্থ, বিদেশে পাচারকৃত অর্থ, সেকেন্ড হোম, বিদেশী গচ্ছিত বেশুমার সম্পদের হিসাব নেই। যারা আওয়ামীলীগ করেন তাদের ব্রতই যেন লুটপাট করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়া। লুটেরা রাজ্যে আওয়ামী লুটেরাদের কোন জবাবদিহিতা করতে হয়না। ফলে মোট সম্পদের ছিটেফোটা মাত্র এই হলফনামায় উঠে এসেছে। এমপি-মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থীরাও অনেক তথ্য গোপন করছেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যিনি সারাক্ষণ নীতি নৈতিকতার ছবক দেন, আইনের বানী কপচান সেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। আঙল ফুলে হয়েছেন বটগাছ। গত দশ বছরের ব্যবধানে মন্ত্রীর নগদ টাকা বেড়েছে ২১৮ গুণ। ১০ বছর আগের হলফনামায় তার কাছে নগদ ৫ লাখ টাকা ছিল। এখন সেই ৫ লাখ টাকা পরিনত হয়েছে নগদ ১১ কোটি টাকায়। সম্পদের কথা বাদই দিলাম। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সম্পদ বেড়েছে ৯৮ গুণ। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর সম্পদ বেড়েছে ৪৯৭ গুণ, নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদারের আয় বেড়েছে ১৮০ গুণ এবং সম্পদ বেড়েছে ১৪ গুণ, ঝিনাইদহ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের নগদ টাকা বেড়েছে ২২২ গুণ, রেলমন্ত্রী এবং পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুল ইসলাম সুজনের সম্পদ বেড়েছে ৩২ গুণ, যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আফিল উদ্দীনের সম্পদ বেড়েছে ১৬ গুণ, ফেনী-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে শত কোটি টাকার এবং লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের সম্পদ (স্ত্রীর সম্পদের হিসাব ছাড়াই) বেড়েছে দেড় কোটি টাকার ওপরে। ময়মনসিংহ-১১ আসনের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুর নগদ টাকা ৪ লাখ থেকে বেড়ে আড়াই কোটি, ১০ ভরি সোনা থেকে হয়েছে ১০০ ভরি।  কিনেছেন বহু জমি-বিলাসবহুল গাড়ি। ১০ বছরে কুষ্টিয়া-২ আসনের নৌকার মাঝি জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নগদ টাকা বেড়েছে ৫২ গুণ। ৬ লাখ ৮৫ হাজার মালিক ছিলেন ইনু। এখন তাঁর কাছে নগদ টাকা আছে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৫৫ টাকা। গত ১০ বছরে ইনুর স্ত্রীর সম্পদ বেড়ে হয়েছে ২৯ গুণ। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৩০ গুণ। লাখ টাকার গাড়ি থেকে হয়েছে কোটি টাকার গাড়ি। বগুড়া-১ আসনে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের নির্বাহী সদস্য সাহাদারা মান্নানের গত ৪৫ মাসে (প্রায় চার বছর) চার কোটি টাকার অধিক অর্থ-সম্পদ বেড়েছে। কুষ্টিয়া-৩ আসনের এমপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের গত ১০ বছরে সম্পদ বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমের নগদ টাকা বেড়েছে ১৭ গুণ। বগুড়া-৭ আসনের এমপি রেজাউল করিম বাবলুর পাঁচ বছরে সম্পদ বেড়েছে ৭২৪ গুণ। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তার আয় ছিল পাঁচ হাজার টাকা। শূন্য থেকে কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সম্পদ বেড়েছে। তার বর্তমান স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্যমান ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ২২ গুণ। গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের সম্পদ বেড়েছে ৫৪ গুণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১০ গুণেরও বেশি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সম্পদ বেড়েছে দেড়গুণ, স্ত্রীর ৪ গুণ। পাঁচ বছরে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো.তাজুল ইসলামের সম্পদ বেড়েছে আড়াই গুণ। পাঁচ বছরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের আয় বেড়েছে ৩৭ গুণ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমানের আয় ১০ বছরে বেড়েছে পাঁচ গুণের বেশি। বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর আয় ও সম্পদ ৮ গুণ বেড়েছে। তার চেয়ে তার স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে সাড়ে ২৫ গুণ। আগে তার সম্পদ ছিল না, এবার পৌনে ২ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সম্পদ বেড়েছে। ২০১৮ সালে ছিল ৩৫ লাখ টাকার দুটি ফ্ল্যাট। পাঁচ বছরে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকার তিনটি ফ্ল্যাটের মালিক। প্রতিটি হলফনামার অবস্থা তথৈবচ।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, অর্থ বিত্ত সম্পদের ছিটেফোটার হিসাব দিলেও কোন কোন মিথ্যেবাদী মন্ত্রী-এমপি তাদের হলফনামায় দেশকে শায়েস্তা খা’র আমলে ফিরিয়ে নিয়েছেন। যে শাসনামলে টাকায় ৮ মন চাল পাওয়া যেতো। শেখ হাসিনার আদর্শিক কিছু অটোপাস এমপি জনগনকে ব্যাকুব মনে করে। লুটের অর্থ সম্পদ কম দেখাতে তাদের প্রায় সকলেই গাড়ী, বাড়ী, জমি-জিরাত-খামার-বাড়ীভাড়া,সোনা-দানা-অলংকারসহ সবকিছুর মুল্য অতি সামান্য দেখিয়েছেন, তাতে মনে হচ্ছে তারা এখনো শায়েস্তা খা’র আমলে বাস করছেন। সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলটির জেলা সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী হলফনামায় তার ১০০ ভরি স্বর্ণের দাম দেখিয়েছেন মাত্র এক লাখ টাকা। সে হিসাবে তার কাছে গচ্ছিত প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়েছে এক হাজার টাকা। কুমিল্লা-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এমপি ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত ২২ ভরি স্বর্ণের দাম  দেখিয়েছেন ২১ হাজার টাকা। প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দেখিয়েছেন ৯৫৫ টাকা। অথচ বর্তমান বাজারে স্বর্ণের ভরি লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। কেউ কেউ ঢাকার অভিজাত এলাকার ফ্লাটের দাম লাখ টাকা দেখিয়েছেন। কেউ কেউ মৎস্য চাষের জমির দাম দেখিয়েছেন হাজার টাকা। তবে সাত তাড়াতাড়ি লাফিয়ে লাফিয়ে সম্পদ ও নগদ অর্থ বৃদ্ধির পেছনে আয়ের উৎসগুলো যে দুর্নীতি লুটপাট তা জনগন পরিপূর্ন ওয়াকেফহাল।  বাস্তবতা হলো মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের  এই সম্পদ-এই টাকার পাহাড় কিভাবে গড়ে উঠেছে আয়ের উৎস কি এইসব নিয়ে শেখ হাসিনার মাথাব্যাথা নেই। জবাবদিহিতা নেয়ার কেউ নেই। কারন সবকিছু আওয়ামীময়-নষ্টদের অধিকারে। বর্গীদের মতো লুটের রাজ্য ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে টপ টু বটম ব্যস্ত। তারা জনগনের সম্পদ চেটেপুটে খেয়ে পেট মোটা করতে এসেছেন। লুটের শাসন স্থায়ী করতে খুন গুম হামলা মামলা গ্রেফতার মিথ্যা সাজা দেয়া হচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। এক তরফা নির্বাচনের নাটক করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে অন্ধ হয়ে পড়েছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী মাফিয়া রাষ্ট্রে এমপি বা মন্ত্রিত্ব যেন ‘আলাদিনের চেরাগ’। এই শাই শাই করে চোখের পলকে শানৈ উন্নতি, অর্থবিত্তের পাহাড় গড়ার নেপথ্য রহস্য জানে প্রতিটি মানুষ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন তার ছোট্ট উদাহারন। প্রতিটি মন্ত্রী-এমপির বিমূর্ত অবয়ব তিনি। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পাওয়ার জন্য দেওয়া ৯৪ লাখ ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের হাতে তার মিন্টো রোডের ১১ নম্বর সরকারি বাসভবনে নির্মম মারধরের শিকার হয়েছেন পুলিশ সদস্যসহ তিন ভূক্তভোগী অসহায় ব্যক্তি। প্রতিমন্ত্রীর নিয়োগ বাণিজ্য ও গুন্ডামীর এই খবর সকল পত্র পত্রিকা টেলিভিশন অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে ১০ ডিসেম্বর সাতজনের কাছ থেকে নেওয়া সাড়ে ৯ লাখ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন প্রতিমন্ত্রী।১২ ডিসেম্বর যুগান্তর সহ বিভিন্ন খবরের কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন মন্ত্রীত্ব পেয়েই হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। কুড়িগ্রাম থেকে নির্বাচিত এই সংসদ-সদস্য প্রতিমন্ত্রীর পদ পেয়েই অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তোলেন সম্পদের পাহাড়। সীমান্তবর্তী রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারীতে মাদক ব্যবসা, ভূমিদস্যুতা, তদবির বাণিজ্য ও শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে জমি দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাসহ অবৈধ সম্পদ দখলের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী সুরাইয়া সুলতানা ১৪ বছর ধরে কর্মস্থলে না গিয়েও নিয়মিত তোলেন বেতনভাতা। মন্ত্রীর ছত্রছায়ায় এলাকার ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরাও। অপরাধ কর্মকান্ডের পাহারাদার হিসাবে এলাকায় গড়ে তুলেছেন নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী।”