ঢাকা, রবিবার ২৮ই এপ্রিল ২০২৪ , বাংলা - 

মনোনয়ন না, তাই ওমরাহ করছেন মন্নাফী!

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-12-08, 12.00 AM
মনোনয়ন না, তাই ওমরাহ করছেন মন্নাফী!

#ঢাকা-৬ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী # ঢাকা-৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির # মন্নাফী ও হুমায়ুনের দেখা পাচ্ছেন না ঢাকা দক্ষিণের দলীয় প্রার্থীরা। #দ্বিধাদ্বন্দ্বে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা । ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার সংসদীয় আসনগুলোর মধ্যে নানান কারণে আলোচিত ঢাকা-৬ ও ঢাকা-৭। এ দুটি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন চেয়েছিলেন যথাক্রমে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। বছরখানেক আগ থেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছিলেন তারা। ধরনা দিয়েছিলেন দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে। কিন্তু দল থেকে শেষ পর্যন্ত দুজনের কেউই মনোনয়ন পাননি। এতে মনঃক্ষুণ্ণ দুজনই। এর মধ্যে মন্নাফী তো নির্বাচনী কাজ বাদ দিয়ে ১৫ দিনের জন্য সৌদি পাড়ি দিয়েছেন ওমরাহ পালনে।ঢাকা-৬ আসনে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। আর ঢাকা-৭ আসনে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন সোলায়মান সেলিম। তিনি ঢাকা-৭ আসনের বিতর্কিত সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ঢাকা-৬ ও ঢাকা-৭ আসনে দলীয় সমর্থনবঞ্চিত হওয়ায় মনঃক্ষুণ্ণ সংগঠনটির সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। দলের সিদ্ধান্তের পর দুজন রাজনৈতিক ও নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছেন। ঢাকা দক্ষিণের আসনগুলোর দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গেও তেমন যোগাযোগ করছেন না।এর মধ্যে গত ৩ ডিসেম্বর ওমরাহ করতে ১৪ দিনের সফরে সৌদি আরবে চলে গেছেন আবু আহমেদ মন্নাফী। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার এ সফর নিয়ে দলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এছাড়া দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী কাজ পরিচালনায় দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

 

তবে আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবিরের এ ধরনের অসহযোগিতার বিষয়ে গণমাধ্যমে নাম-পরিচয় দিয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সংসদ সদস্য প্রার্থীরা। তবে তারা জানান, গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আটটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করেন প্রার্থীরা। এজন্য দলের তৃণমূলের সহযোগিতা চেয়ে আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু তারা দুজনেরই দায়সারা ভাব। সংশ্লিষ্ট থানা, ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের আনুষ্ঠানিক দিকনির্দেশনা দেননি তারা। ফলে নির্বাচনী কাজ পরিচালনায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রার্থীরা।তবে আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবিরের দাবি, দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে প্রতিটি সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা দুজনই নিয়মিত প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ১৫ ডিসেম্বরের পর নির্বাচনী প্রচার শুরু হলে তা দৃশ্যমান হবে।

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণে মোট আটটি আসন রয়েছে। ঢাকা-২ আসন (কামরাঙ্গীরচর), ঢাকা-৪ (শ্যামপুর ও কদমতলী), ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা), ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, ওয়ারী ও বংশাল), ঢাকা-৭ (কোতোয়ালি, চকবাজার ও লালবাগ), ঢাকা-৮ (পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর), ঢাকা-৯ (খিলগাঁও ও মুগদা), ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট থানা)। এই ২১টি থানা কমিটির অধীনে আরও ৭৫টি ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের। এছাড়া প্রতিটি পাড়া, মহল্লাকেন্দ্রিক আরও কয়েকশ ইউনিটি কমিটিও রয়েছে সংগঠনটির। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এসব কমিটির নেতাকর্মীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। বিশেষ করে ঢাকা-৬ ও ঢাকা-৭ আসনের নেতাকর্মীরা।ঢাকা-৬ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট তথা জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এতে দীর্ঘ ১০ বছর এই আসনে দলীয় সংসদ সদস্য পাননি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এই সুযোগে আসনটিতে সমর্থন পেতে দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। কিন্তু দলীয় সমর্থন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাইদ খোকন।এ মনোনয়নের পর আবু আহমেদ মন্নাফীকে দলীয় কর্মসূচি এবং সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা বৈঠক করতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে গত ৩ ডিসেম্বর রাতে তিনি ওমরাহ করতে সৌদি আরব চলে যান। ১৬ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলে জানা যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আবু আহমেদ মন্নাফীর নির্দেশনা ছাড়া দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে যুক্ত হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চুপ রয়েছেন। তবে অনেকেই দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে প্রকাশ্যে কাজ করছেন।

 

এ বিষয়ে জানতে আবু আহমেদ মন্নাফী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ঢাকা দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি  বলেন, তারা ঢাকা দক্ষিণের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সঙ্গে কাজ করছেন।

 

এদিকে ঢাকা-৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার ছেলে সোলায়মান সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকসহ অন্তত ১০ জন। তবে দল থেকে সোলায়মান সেলিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে মনঃক্ষুণ্ণ হন হুমায়ন কবির। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ঢাকা-৭ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছিলেন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক সহ-সভাপতি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঢাকা-৮ আসনের দলীয় প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে নিয়ে প্রকাশ্যে বৈঠক করেছেন হুমায়ুন কবির। এর বাইরে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে বসা, দলীয় নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেননি। তবে প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’

 

জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির  বলেন, ‘আমি ঢাকা-৭ আসনে নির্বাচনে দলের সমর্থন চেয়েছিলাম। দল যাকে যোগ্য মনে করছে, তাকেই দিয়েছে। একইভাবে ঢাকা দক্ষিণের অন্য আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এখন তাদের বিজয়ী করতে যা যা করণীয় তা করছি।’#ঢাকা-৬ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী

# ঢাকা-৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির

# মন্নাফী ও হুমায়ুনের দেখা পাচ্ছেন না ঢাকা দক্ষিণের দলীয় প্রার্থীরা।

#দ্বিধাদ্বন্দ্বে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

 

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার সংসদীয় আসনগুলোর মধ্যে নানান কারণে আলোচিত ঢাকা-৬ ও ঢাকা-৭। এ দুটি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন চেয়েছিলেন যথাক্রমে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। বছরখানেক আগ থেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছিলেন তারা। ধরনা দিয়েছিলেন দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে। কিন্তু দল থেকে শেষ পর্যন্ত দুজনের কেউই মনোনয়ন পাননি। এতে মনঃক্ষুণ্ণ দুজনই। এর মধ্যে মন্নাফী তো নির্বাচনী কাজ বাদ দিয়ে ১৫ দিনের জন্য সৌদি পাড়ি দিয়েছেন ওমরাহ পালনে।ঢাকা-৬ আসনে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। আর ঢাকা-৭ আসনে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন সোলায়মান সেলিম। তিনি ঢাকা-৭ আসনের বিতর্কিত সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ঢাকা-৬ ও ঢাকা-৭ আসনে দলীয় সমর্থনবঞ্চিত হওয়ায় মনঃক্ষুণ্ণ সংগঠনটির সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। দলের সিদ্ধান্তের পর দুজন রাজনৈতিক ও নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছেন। ঢাকা দক্ষিণের আসনগুলোর দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গেও তেমন যোগাযোগ করছেন না।এর মধ্যে গত ৩ ডিসেম্বর ওমরাহ করতে ১৪ দিনের সফরে সৌদি আরবে চলে গেছেন আবু আহমেদ মন্নাফী। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার এ সফর নিয়ে দলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এছাড়া দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী কাজ পরিচালনায় দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

 

তবে আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবিরের এ ধরনের অসহযোগিতার বিষয়ে গণমাধ্যমে নাম-পরিচয় দিয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সংসদ সদস্য প্রার্থীরা। তবে তারা জানান, গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আটটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করেন প্রার্থীরা। এজন্য দলের তৃণমূলের সহযোগিতা চেয়ে আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু তারা দুজনেরই দায়সারা ভাব। সংশ্লিষ্ট থানা, ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের আনুষ্ঠানিক দিকনির্দেশনা দেননি তারা। ফলে নির্বাচনী কাজ পরিচালনায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রার্থীরা।তবে আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবিরের দাবি, দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে প্রতিটি সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা দুজনই নিয়মিত প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ১৫ ডিসেম্বরের পর নির্বাচনী প্রচার শুরু হলে তা দৃশ্যমান হবে।

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণে মোট আটটি আসন রয়েছে। ঢাকা-২ আসন (কামরাঙ্গীরচর), ঢাকা-৪ (শ্যামপুর ও কদমতলী), ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা), ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, ওয়ারী ও বংশাল), ঢাকা-৭ (কোতোয়ালি, চকবাজার ও লালবাগ), ঢাকা-৮ (পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর), ঢাকা-৯ (খিলগাঁও ও মুগদা), ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট থানা)। এই ২১টি থানা কমিটির অধীনে আরও ৭৫টি ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের। এছাড়া প্রতিটি পাড়া, মহল্লাকেন্দ্রিক আরও কয়েকশ ইউনিটি কমিটিও রয়েছে সংগঠনটির। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এসব কমিটির নেতাকর্মীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। বিশেষ করে ঢাকা-৬ ও ঢাকা-৭ আসনের নেতাকর্মীরা।ঢাকা-৬ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট তথা জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এতে দীর্ঘ ১০ বছর এই আসনে দলীয় সংসদ সদস্য পাননি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এই সুযোগে আসনটিতে সমর্থন পেতে দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। কিন্তু দলীয় সমর্থন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাইদ খোকন।এ মনোনয়নের পর আবু আহমেদ মন্নাফীকে দলীয় কর্মসূচি এবং সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা বৈঠক করতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে গত ৩ ডিসেম্বর রাতে তিনি ওমরাহ করতে সৌদি আরব চলে যান। ১৬ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলে জানা যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আবু আহমেদ মন্নাফীর নির্দেশনা ছাড়া দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে যুক্ত হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চুপ রয়েছেন। তবে অনেকেই দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে প্রকাশ্যে কাজ করছেন।

 

এ বিষয়ে জানতে আবু আহমেদ মন্নাফী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ঢাকা দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি  বলেন, তারা ঢাকা দক্ষিণের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সঙ্গে কাজ করছেন।

 

এদিকে ঢাকা-৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার ছেলে সোলায়মান সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকসহ অন্তত ১০ জন। তবে দল থেকে সোলায়মান সেলিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে মনঃক্ষুণ্ণ হন হুমায়ন কবির। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ঢাকা-৭ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছিলেন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক সহ-সভাপতি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঢাকা-৮ আসনের দলীয় প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে নিয়ে প্রকাশ্যে বৈঠক করেছেন হুমায়ুন কবির। এর বাইরে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে বসা, দলীয় নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেননি। তবে প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’

 

জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির  বলেন, ‘আমি ঢাকা-৭ আসনে নির্বাচনে দলের সমর্থন চেয়েছিলাম। দল যাকে যোগ্য মনে করছে, তাকেই দিয়েছে। একইভাবে ঢাকা দক্ষিণের অন্য আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এখন তাদের বিজয়ী করতে যা যা করণীয় তা করছি।’#ঢাকা-৬ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী

# ঢাকা-৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির

# মন্নাফী ও হুমায়ুনের দেখা পাচ্ছেন না ঢাকা দক্ষিণের দলীয় প্রার্থীরা।

#দ্বিধাদ্বন্দ্বে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা

 

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার সংসদীয় আসনগুলোর মধ্যে নানান কারণে আলোচিত ঢাকা-৬ ও ঢাকা-৭। এ দুটি আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন চেয়েছিলেন যথাক্রমে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। বছরখানেক আগ থেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছিলেন তারা। ধরনা দিয়েছিলেন দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে। কিন্তু দল থেকে শেষ পর্যন্ত দুজনের কেউই মনোনয়ন পাননি। এতে মনঃক্ষুণ্ণ দুজনই। এর মধ্যে মন্নাফী তো নির্বাচনী কাজ বাদ দিয়ে ১৫ দিনের জন্য সৌদি পাড়ি দিয়েছেন ওমরাহ পালনে।ঢাকা-৬ আসনে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। আর ঢাকা-৭ আসনে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন সোলায়মান সেলিম। তিনি ঢাকা-৭ আসনের বিতর্কিত সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে।ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, ঢাকা-৬ ও ঢাকা-৭ আসনে দলীয় সমর্থনবঞ্চিত হওয়ায় মনঃক্ষুণ্ণ সংগঠনটির সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। দলের সিদ্ধান্তের পর দুজন রাজনৈতিক ও নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছেন। ঢাকা দক্ষিণের আসনগুলোর দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গেও তেমন যোগাযোগ করছেন না।এর মধ্যে গত ৩ ডিসেম্বর ওমরাহ করতে ১৪ দিনের সফরে সৌদি আরবে চলে গেছেন আবু আহমেদ মন্নাফী। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের এ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তার এ সফর নিয়ে দলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এছাড়া দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনী কাজ পরিচালনায় দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

 

তবে আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবিরের এ ধরনের অসহযোগিতার বিষয়ে গণমাধ্যমে নাম-পরিচয় দিয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন সংসদ সদস্য প্রার্থীরা। তবে তারা জানান, গত ২৬ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আটটি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন ঘোষণা করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরপর থেকে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করেন প্রার্থীরা। এজন্য দলের তৃণমূলের সহযোগিতা চেয়ে আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু তারা দুজনেরই দায়সারা ভাব। সংশ্লিষ্ট থানা, ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের আনুষ্ঠানিক দিকনির্দেশনা দেননি তারা। ফলে নির্বাচনী কাজ পরিচালনায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন প্রার্থীরা।তবে আবু আহমেদ মন্নাফী ও হুমায়ুন কবিরের দাবি, দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে প্রতিটি সংসদীয় আসনে সংশ্লিষ্ট থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট কমিটিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা দুজনই নিয়মিত প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। ১৫ ডিসেম্বরের পর নির্বাচনী প্রচার শুরু হলে তা দৃশ্যমান হবে।

 

ঢাকা মহানগর দক্ষিণে মোট আটটি আসন রয়েছে। ঢাকা-২ আসন (কামরাঙ্গীরচর), ঢাকা-৪ (শ্যামপুর ও কদমতলী), ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা), ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, ওয়ারী ও বংশাল), ঢাকা-৭ (কোতোয়ালি, চকবাজার ও লালবাগ), ঢাকা-৮ (পল্টন, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর), ঢাকা-৯ (খিলগাঁও ও মুগদা), ঢাকা-১০ (ধানমন্ডি, কলাবাগান, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট থানা)। এই ২১টি থানা কমিটির অধীনে আরও ৭৫টি ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের। এছাড়া প্রতিটি পাড়া, মহল্লাকেন্দ্রিক আরও কয়েকশ ইউনিটি কমিটিও রয়েছে সংগঠনটির। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এসব কমিটির নেতাকর্মীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন। বিশেষ করে ঢাকা-৬ ও ঢাকা-৭ আসনের নেতাকর্মীরা।ঢাকা-৬ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট তথা জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এতে দীর্ঘ ১০ বছর এই আসনে দলীয় সংসদ সদস্য পাননি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এই সুযোগে আসনটিতে সমর্থন পেতে দলীয় মনোনয়ন কিনেছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী। কিন্তু দলীয় সমর্থন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাইদ খোকন।এ মনোনয়নের পর আবু আহমেদ মন্নাফীকে দলীয় কর্মসূচি এবং সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বা বৈঠক করতে দেখা যায়নি। এর মধ্যে গত ৩ ডিসেম্বর রাতে তিনি ওমরাহ করতে সৌদি আরব চলে যান। ১৬ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলে জানা যায়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, আবু আহমেদ মন্নাফীর নির্দেশনা ছাড়া দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে যুক্ত হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা চুপ রয়েছেন। তবে অনেকেই দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে প্রকাশ্যে কাজ করছেন।

 

এ বিষয়ে জানতে আবু আহমেদ মন্নাফী হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ঢাকা দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি  বলেন, তারা ঢাকা দক্ষিণের সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সঙ্গে কাজ করছেন।

 

এদিকে ঢাকা-৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও তার ছেলে সোলায়মান সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকসহ অন্তত ১০ জন। তবে দল থেকে সোলায়মান সেলিমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এতে মনঃক্ষুণ্ণ হন হুমায়ন কবির। তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও ঢাকা-৭ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছিলেন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক সহ-সভাপতি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঢাকা-৮ আসনের দলীয় প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে নিয়ে প্রকাশ্যে বৈঠক করেছেন হুমায়ুন কবির। এর বাইরে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে বসা, দলীয় নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেননি। তবে প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’

 

জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির  বলেন, ‘আমি ঢাকা-৭ আসনে নির্বাচনে দলের সমর্থন চেয়েছিলাম। দল যাকে যোগ্য মনে করছে, তাকেই দিয়েছে। একইভাবে ঢাকা দক্ষিণের অন্য আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। এখন তাদের বিজয়ী করতে যা যা করণীয় তা করছি।’