ঢাকা, বুধবার ১ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

অবরোধে গাড়ী চলাচল বাড়লেও যাত্রী কম

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-11-13, 12.00 AM
অবরোধে গাড়ী চলাচল বাড়লেও যাত্রী কম

চলছে বিএনপি-জামায়াতসহ কয়েকটি দল ও জোটের চতুর্থ ধাপের টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ।  চতুর্থ ধাপের এই অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাস্তায় কিছুটা বেড়েছে গণপরিবহন চলাচল। তবে আগের যাত্রীর সংখ্যা আগের মতোই কম। সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, গুলিস্তান ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়।সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েকদিনের অবরোধের তুলনায় আজ রাস্তায় তুলনামূলক বাস, সিএনজি চলাচল বেড়েছে। আগের মতোই চলছে প্রাইভেটকার ও রিকশা। গণপরিবহন চলাচল বাড়লেও রাস্তায় তেমন বাড়েনি সাধারণ মানুষের চলাচল। রাস্তায় চাকরিজীবীদেরই মূলত চলাচল করতে দেখা গেছে। ফলে সাধারণ সময়ে অফিস টাইমে লোকে লোকারণ্য থাকা বাসগুলোকে অনেকটা ফাঁকা চলাচল করতে দেখা যায়।

পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা জানান, আগের তুলনায় কিছুটা বাস চলাচল বেড়েছে। আগে ১০টি বাস চললে এখন ১৫টি চলছে। তবে অনেকেই আগুনের ভয়ে বাস বের করছে না। আবার সাধারণ মানুষও ভয়ে বের হচ্ছে না। চাকরিজীবী ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ রাস্তায় বের হচ্ছে না। পল্টন মোড়ে কথা হয় মেঘলা বাসের স্টাফ জনির সঙ্গে। তিনি বলেন, বাস চলাচল আজ কিছুটা বেড়েছে। তবে সন্ধ্যার পর বাস একেবারে কমে যায়।  কারণ সেসময় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বাস চলাচল বাড়লেও যাত্রী বাড়েনি।একই কথা বলেন রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাও এর চালক মো. জাহিদুর বলেন, গত কয়দিনের তুলনায় বাস চলাচল বাড়লেও যাত্রী নেই। মানুষ ভয়ে বের হচ্ছে না।

তবে শেকড় বাসের চালক মো. চাঁন মিয়া বলেন, বাস চলাচল আগের মতোই আছে, বাড়েনি। যাত্রীও আগের মতোই কম।গুলিস্তান পরিবহনের একটি বাসে করে মগবাজার ওয়্যারলেস থেকে গুলিস্তান যাচ্ছিলেন চাকরিজীবী আউয়াল। তিনিও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, রাস্তা যানবাহন চলাচল আগের মতোই কম। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে বাসে উঠতে হয়েছে।প্রসঙ্গত, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রোববার (১২ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ চলবে আগামী মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত।

গত দুই সপ্তাহে তিন দফায় ১৬০ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোট। গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের পর বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোটগুলো কঠোর কর্মসূচিতে যায়। ওই ঘটনার পরদিন সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে তারা। এরপর শুরু হয় অবরোধ কর্মসূচি।প্রথম দফায় ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন, দ্বিতীয় দফায় ৫ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টা ও তৃতীয় দফায় ৮ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। চতুর্থ দফায় ১২ নভেম্বর থেকে একই কর্মসূচি পালন করবে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।