ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

হিরক রাজার মতো পরিণতি হবে সরকারের:আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-09-26, 12.00 AM
হিরক রাজার মতো পরিণতি হবে সরকারের:আব্বাস

হিরক রাজার মতো বর্তমান সরকারেরও শেষ পরিণতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা রোড মার্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা আব্বাস বলেন, দেশ আজ মারাত্মক হারে ঋণ খেলাপিতে দাঁড়িয়েছে। কারা এ অর্থ পাচার করেছে তা ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করা হবে। এ অর্থের হিসাব পই পই করে দিতে হবে। এতে দেশের জনগণের হক আছে। তিনি আরও বলেন, দেশকে বর্তমান সরকার হিরক রাজার দেশে পরিণত করেছে। তাই হিরক রাজার যেমন শেষ পরিণতি হয়েছিল আপনাদেরও তাই হবে। সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।  তিনি বলেন, আজ আন্দনের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বিজয় আনন্দ করছি। আমার মনে হচ্ছিল ঈদের আগে চাঁদ রাত পালন করছি। ঈদের আগে রাত থাকে না! ঐ রাত।  আজ সারাদেশের  মানুষ উদ্দীপ্ত, উদ্বেলিত-উচ্ছ্বসিত, আবেগতারিত মনবেদনায় অস্থির। একদিকে বিজয় আনন্দ, আরেক দিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন।  বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার থেকে বিদেশের চিকিৎসা দিতে সুযোগ দিচ্ছে না। মির্জা আব্বাস বলেন, আমি  ম্যাডামকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ্য। আমি তখন ম্যাডামকে বলে এসেছি সারাদেশবাসী অত্যন্ত চিন্তিত। মানুষ আপনার জন্য দোয়া করছেন। সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাবো। তিনি বলেন,দেশের অর্থনীতির খুব খারাপ অবস্থা।  বাংলাদেশে এখন ডলারের রিজার্ভ নাই বলেই চলে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের ঋণ খেলাপী ছিল ২১ হাজার কোটি টাকা। আজকে বাংলাদেশে ঋণ খেলাপীর পরিমাণ ১০৯ হাজার কোটি টাকা।  এই টাকা কে খেল, এই টাকা গেল কোথায়? আপনার টাকা,  আমার টাকা,  জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এই টাকা কোথায় গেল জনগণ জানতে চায়?

 

এদিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বর্তমান সরকারকে যতক্ষণ পর্যন্ত বিদায় করতে পারবো না ততোক্ষণ আমরা রাস্তা ছাড়বো না। শয়তানীর একটা সীমা আছে, আপনি চোরের প্রধানমন্ত্রী। আপনি নেতাকর্মীদের বন্দি রেখেছেন। তাই বলছি সময় থাকতে মুক্তি দেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেন, নির্দলীয় সরকার গঠন করেন। নইলে মার যদি জনগণ শুরু করে তাহলে রেহাই পাবেন না।

সরকার পতনের একদফা দাবিতে এবার ঝিনাইদহ থেকে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ করেছে বিএনপি। ১৬০ কিলোমিটার দীর্ঘপথে  মাগুরায় ২টি, যশোরে ৩টি ও খুলনার প্রবেশমুখে একটি পথসভা হয়। খুলনা শহরের শিববাড়ি মোড়ের জিয়া হল চত্বরে সমাপনী সমাবেশের মাধ্যমে রোডমার্চ শেষ হয়। রোডমার্চে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল নিয়ে হাজার হাজার নেতাকর্মী রোডমার্চে যোগ দেন। ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী সমাবেশে বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু  শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য  সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিদ্য ইসলাম আমিত,  ছাত্রবিষরক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল,  বিএনপি স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান বক্তব্য দেন।  সঞ্চালনায় ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির  সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা উপস্থিত ছিলেন।