সাভার (ঢাকা): সাভারের রানা প্লাজা ধসের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে নিহত শ্রমিকদের স্মরণে করোনা সংক্রমণ রোধের কারণে স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে এবার সীমিত পরিসরে কর্মসূচির আয়োজন করবে নিহত শ্রমিকের পরিবার, আহত শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো।শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে নিহতদের স্মরণের কর্মসূচি।যা শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে রানা প্লাজার বেদিতে ফুল দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হয়ে যাবে।
উপজেলা প্রশাসনের বিধিনিষেধ থাকায় গত বছরও দিবসটি পালনে তেমন কোনো কর্মসূচি হয়নি। এ বছর আবারো করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবসে কোনো কর্মসূচি নেই বলে জানিয়েছে শ্রমিক সংগঠন গুলো। তবে ২৪ এপ্রিল সকালে সীমিত ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবল শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, নিহতদের স্মরণে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনের বেদিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়া হবে। অন্যবার যেমন মাইক ও ব্যানার লাগিয়ে স্টেজ তৈরি করে আমরা নানা কর্মসূচি পালন করতাম। কিন্তু করোনার কারণে এ বছর আমরা এগুলো করছি না।
সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা শ্রমিক নেতাদের কাছে মেসেজ পৌঁছে দিয়েছি। যেহেতু করোনা মহামারির সময় চলছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শ্রদ্ধা নিবেদনের প্রোগ্রামগুলো যেভাবে হয়ে থাকে। এরকম স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে তারা তাদের প্রোগ্রামটি সীমিত আকারে করবে। কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি ভাঙা যাবে না। মূলত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে প্রোগ্রামটি করার জন্য তাদের অনুরোধ করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে ঢাকার সাভারে ধসে পড়ে রানা প্লাজার নয় তলা ভবন। দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ এ ট্র্যাজেডিতে সরকারি হিসেবে প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক। এখনও নিখোঁজ আছেন অনেকে। আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করে মানবেতর দিনযাপন করছেন আরও প্রায় দুই হাজার শ্রমিক।