হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক মাদরাসার ছাত্রদের ‘উসকানি দিয়ে মাঠে নামিয়েছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিল ‘সরকার উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল’ করা।মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। হারুন অর রশিদ জানান, হেফাজতের নেতাকর্মীদের উসকানি দিতেন মামুনুল। তিনি বলতেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে হেফাজতের সমর্থন ছাড়া কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল অনেক চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপ পুলিশ কমিশনার হারুন বলেন, মোহাম্মদপুরের ওই মামলায় বাদীর অভিযোগ ধরে এবং সেদিনের হামলার ভিডিও দেখিয়ে মামুনুলকে তারা প্রশ্ন করেছিলেন- মসজিদে তাবলিগ জামাতের নিজামুদ্দিন মারকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের মারপিট করা হয়েছিল কেন? উত্তরে মামুনুল বলেছেন, ‘এটি ঠিক হয়নি’।
তাবলিগ জামাতের বিবাদমান দুই পক্ষের মধ্যে মাওলানা জুবায়েরুল হাসানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত হেফাজত নেতা মামুনুল।
তিনি ভেবেছিলেন, সাদপন্থিদের পিটিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দিলে তারা দুর্বল হয়ে যাবেন, বলেন উপ কমিশনার হারুন।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় মামুনলকে তার কয়েকটি ওয়াজের ভিডিও দেখানো হয় জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সেখানে তিনি সাধারণ ধর্মভীরু মানুষকে উসকানি দিয়েছেন। শাহরিয়ার কবিরকে মুরগি চোর বলা, হাসানুল হক ইনু ও সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই জুতাপেটা করার কথা বলে লোকজনকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করেছেন। এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মামুনুল বলেছেন, জোশের কারণে এসব মন্তব্য করে ফেলেছেন।
মামুনুল হকের পেছনে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের ‘মদদ’ আছে কিনা সে বিষয়েও ধারাবাহিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং কেউ তাকে ‘ইন্ধন’ দিয়ে থাকলে কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন উপ পুলিশ কমিশনার হারুন।