ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

হেফাজতের ২৩ মামলা তদন্ত করবে সিআইডি

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-04-19, 12.00 AM
হেফাজতের ২৩ মামলা তদন্ত করবে সিআইডি

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ২৩ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।সোমবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান  এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মামুনুল হককে সোমবার (১৯ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড পেয়েছে পুলিশ। মোহাম্মদপুর থানার যে মামলায় মামুনুলকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে সেখানে মোবাইল, টাকা চুরির নির্দেশদাতা ও ধর্মীয় উসকানির অভিযোগ আনা হয়েছে মামুনুলের বিরুদ্ধে।

গত বছর এই মামলা হয়েছিল মোহাম্মদপুর থানায়। মামলায় মামুনুল সাত নম্বর আসামি। মোহাম্মদপুরের স্থানীয় এক বাসিন্দা গত বছর ৭ মার্চ দণ্ডবিধির ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬/২৯৬/১০৯ ধারায় বেআইনি জনতাবদ্ধভাবে মারধরসহ হত্যার হুমকি, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও চুরির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক মো. সাজেদুল হক রিমান্ড আবেদনে বলেন, ২০২০ সালের ৬ মার্চ রাত আনুমানিক ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে সাত গম্বুজ মসজিদে আমল করতে গেলে মোহাম্মদপুর জামিয়া রহমানিয় আরাবিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ওমর ও ওসমান বাদীসহ অন্যদের আমল করতে নিষেধ করে। তারা ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে এবং মসজিদ থেকে বের হয়ে যেতে বলে। এসময় বাদীর সঙ্গে থাকা কয়েকজনকে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে।

বাদী তাদের রক্ষা করতে গেলে আসামি জহির তাকে মারধর করতে থাকে। এরপর আসামি মামুনুল হক ও তার ভাই মাহফুজুল হকের নির্দেশে ৭০/৮০ জন ছাত্র মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে বাদীকে মারধর করে। আসামি ওমরের আঘাতে বাদীর বাম চোখে গুরুতর জখম হয়। আঘাতের কারণে বাদী মসজিদের ভিতরে শুয়ে পড়েন।  

এসময় বাদীর একটি স্যামসাং এ-৫০ মোবাইল, নগদ সাত হাজার টাকা এবং ২২ ডলার ও ব্র্যাক বাংকের একটি ডেবিট কার্ডসহ বাদীর একটি মানিব্যাগ নিয়ে যায়। পুনরায় মসজিদে প্রবেশ করলে বাদী ও তার সঙ্গীদের হত্যা করবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এসময় তাকে সঙ্গীরা উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানেই চিকিৎসা নেন।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামি মামুনুল হক এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের চেনেন। জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মামলার অপরাপর আসামির নাম ঠিকানা সংগ্রহ ও চোরাই মাল উদ্ধারের লক্ষ্যে উক্ত আসামিকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সা দিনের রিমান্ড আবেদন করা আবশ্যক।সেই আবেদনের উপর শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী মামুনুল হকের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।