ভোলা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের গাজীপুর রোডে অবস্থিত একটি বাড়িতে বসবাস করেন ৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধা মা জাহানরা বেগম। তাঁর স্বামী প্রকৌশলী মো: হানিফ মিয়া বিগত ১৯৬৭ সালে বাড়িটি নির্মাণ করেন। পাঁচ বছর আগে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। জীবিকার সন্ধানে ছেলে-মেয়েরা ঢাকাতে অবস্থান করায় জাহানরা বেগম একাই ওই বাড়িতে বসবাস করেন।
সম্প্রতি জনৈক আবদুল খালেক, মো: তুহিন ও মো: আলম গং বাড়িটি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে নতুন ঘর তুলেন। নিজের একমাত্র সম্বল ৫৪ বছর যাবত বসবাস করা বাড়ির দখল পুনরুদ্ধারে প্রশাসনের আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ হন জাহানরা বেগম। অপরদিকে বিবাদীরা উল্টো তাকে মৃত্যুর হুমকি দেন। এই শোকে কিছুদিন আগে মাইল্ড স্ট্রোক করেন তিনি। বর্তমানে চিকিত্সাধীন রয়েছেন এই বৃদ্বা মা।
কিছুদিন আগে সু-বিচার চেয়ে ভোলা পৌর সভার মেয়র মহোদয়ের নিকট আরেকটি আবেদন করেন জাহানরা বেগম। অবশেষে এই বিষয়টি পৌঁছে যায় ‘ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তি সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও ভোলার অবিভাবক তোফায়েল আহমেদ’ এর কাছে। বিষয়টি তিনি জানতে পেরে সাথে সাথে কথা বলেন সেই বৃদ্বা মা জাহানরা বেগমের সাথে এবং দখলকারীদের উচ্ছেদ ও তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
সে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় বাঙালি জাতির ইতিহাসের জীবন্ত কিংবদন্তি শ্রদ্ধাভজন নেতা তোফায়েল আহমেদেকে। আরো ধন্যবাদ জানাই ভোলা পৌর সভার জননন্দিত মেয়র আমার বন্ধু মানিরুজ্জামান মনির এবং ভোলা জেলা আওয়ামিলীগের সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয় ছোট ভাই মাইনুল হোসেন বিপ্লবকে। বৃদ্ধা বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনো দলীয় পরিচয় নেই’। আবদুল খালেক, মো: তুহিন ও মো: আলম গংদের যদি কোন দলীয় পরিচয় থেকে থাকে, তাহলে তাদেরকে দল থেকে বহিস্কার করা হোক।