আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে অভিযোগ করে তা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ইসমাইল নূরপুরী। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের পর একশ্রেণির মিডিয়া সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেম–ওলামাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ ধরনের কুৎসা রটনা বন্ধ করতে হবে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে ইসমাইল নূরপুরী এসব কথা বলেন। খেলাফত মজলিসের আমির মনে করেন, জাতীয় সংসদে সরকারের সর্বোচ্চ চেয়ার থেকে যেভাবে একজন আলেমের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা হয়েছে, তা কখনো শোভনীয় নয়। এ বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানান তিনি।
তথ্য কালেকশনের (সংগ্রহ) নামে বিভিন্ন মাদ্রাসায় সরকারি বাহিনী আর সরকারদলীয় লোকজন গিয়ে হয়রানি ও হুমকি–ধমকি দিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ইসমাইল নূরপুরী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আলেম-ওলামাসহ সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা ও বাড়িতে গিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা, কুৎসা রটনা ও হয়রানি করে হকের আওয়াজ বন্ধ করা যাবে না। সুতরাং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
তা না হলে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায়দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে হামলা-মামলা দিয়ে আর কুৎসা রটিয়ে জনগণকে আলেম–ওলামাদের থেকে দূরে রাখা যাবে না। তিনি হেফাজতের আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ এবং গ্রেপ্তার নেতা–কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের পরিচালনায় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, নায়েবে আমির মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মুফতি সাঈদ নূর, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কুরবান আলী, মুফতি শরাফত হোসাইন, অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুমিন প্রমুখ।