মন্ত্রিত্বের ক্ষমতা দিয়ে স্ত্রীকে বাঁচাতে পারবে না ওবায়দুল কাদের বলে মন্তব্য করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টা ১০ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব মূলত ওনার স্ত্রীর অপকর্মকে ঢাকা দেওয়ার জন্য আমার মুখ বন্ধ করতে চায়। আমাকে নেতাকর্মী শূন্য করতে চায়। ওনার স্ত্রী সম্পর্কে আপনারা ভালো করে জানেন কি করতেছে। ওনার মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ কন্ট্রাক্টর বিএনপির। দুই-চারজন আছে আ.লীগের তারাও কাজগুলো পাইলে বিএনপির লোকদের কাছে বিক্রি করে দেয়। কন্ট্রাক্টদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে এপিএস।
তার কোন কাজ নেই। তিনি আমার এলাকার লোক চিনে না। তিনি সেখান থেকে টাকা সংগ্রহ করে সচিব বেলায়েতের কাছে দেয়। সচিব বেলায়েত এটা তিন ভাগ করে। এক ভাগ তাদের মন্ত্রণালয়ে যারা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারী তাদের দেয়। এক ভাগ তারেক জিয়ার জন্য পাঠায়। আরেকভাগ মন্ত্রীর স্ত্রীর জন্য পাঠায়। এগুলো তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
কাদের মির্জা বলেন, আজকে আমি অসহায়, জিম্মি, আমি আজকে অবরুদ্ধ। আজকে পৌরসভার আঙিনায় ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসির নির্দেশে আমি ত্রাণ বিতরণ করতে পারিনি। আজকে কেন আমার বিরুদ্ধে ওবায়দুল কাদের সাহেব আওয়ামী জাসদ অস্ত্রধারীদেরকে ও আওয়ামী দুর্নীতিবাজ প্রশাসনকে লেলিয়ে দিয়েছে। এটা দেশের মানুষ জানে। লেলিয়ে দিয়েছে আমাকে নেতাকর্মী শূন্য করার জন্য এবং আমার মুখ বন্ধ করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, এই মহিলাকে মন্ত্রী আপনি বাঁচাতে পারবেন না। দুদকের মামলা আগেও আছে। আপনি চাপা দিয়ে রেখেছেন। ওয়ান ইলেভেনের পর দুদকের মামলা হইছে। ওনার আত্মীয় স্বজনের নামে কয়টা প্লট আছে। ওনার বান্ধবীরা যারা বিদেশে থাকে, ওনার বোনের এক মেয়ে ফ্রান্সে না কোথায় থাকে। হাজার হাজার কোটি টাকা সেখানে আপনার জমা আছে। সব খবর আমার আছে। ওখানে আপনার কোন কোন আত্মীয়। আপনার ভাইয়ের মেয়ে তার নিজস্ব লোকজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা আছে। এগুলোর সব খবর আমার কাছে আছে। লুকাতে পারবেন না। আপনি বাঁচাতে পারবেন না। আপনার মন্ত্রিত্বের ক্ষমতা দিয়ে আপনি বাঁচাতে পারবেন না। এ দেশের জনগণ জানে। আর একটা জিনিস মনে রাখবেন জনশ্রুতি হচ্ছে সবচেয়ে বড় ডকুমেন্ট। এ জনশ্রুতি আপনি বন্ধ করতে পারবেন না।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল সাহেব যারা আজকে আপনার সম্মানহানি করছে। আপনি তাদেরকে আপনি শেল্টার দিচ্ছেন। আপনি শেষ বয়সে আপনি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন। আপনার স্ত্রীর আত্মীয় স্বজন আপনার মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেকটা প্রজেক্টে তারা যায়। চট্রগ্রামের অফিস, কুমিল্লার অফিস, ঢাকার অফিস তাদের দখলে।