নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ২৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ২৯ জনের পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করছে ফায়ার সার্ভিস এবং মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।এর মধ্যে আজ ২৪ জনের এবং গতকাল ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উপজেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সোমবার (০৫ এপ্রিল) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুবে যাওয়া লঞ্চটি নদীর পূর্বপাড়ে এনে তল্লাশি চালিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। বিকালে আনুষ্ঠানিক উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়েছে। তবে নিখোঁজদের সন্ধানে নদীতে এখনও তল্লাশি চলছে।
জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, বিআইডব্লিউটিএ-এর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের সাহায্যে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি টেনে উদ্ধার করা হয়েছে। ২৯টি মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো। এখনও কেউ নিখোঁজ থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, নিখোঁজের সন্ধানে নদীতে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে নৌ-পুলিশকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী লাইটার জাহাজাটি খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগের যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন মুন্সিগঞ্জ সদরের মালপাড়া এলাকার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), উত্তর চরমসুরা এলাকার অলিউল্লাহর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), সদরের নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার মিথুন মিয়ার স্ত্রী সাউদা আক্তার লতা (১৮) ও অজ্ঞাত নারী (৩৪)। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানান, উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা শনাক্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেবে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ঢাকার সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দিন জানান, জেলা প্রশাসন সমাপ্ত ঘোষণা করলেও আমাদের কার্যক্রম পর্যন্ত । ইতিমধ্যে আমরা ২৯টি মরদেহ উদ্ধার করেছি।
সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আহতদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে চিকিৎসার ভার নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাহেরা খানম ববিকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এসডজি ইয়ুথ ফোরাম এর ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ড. মো: সেলিম উদ্দিনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ
সম্প্রতি এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র উদ্যোগ ও সামরান ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরসের কারিগরি সহায়তায় এসডিজি-৭ ‘অ্যাফোর্ডেবল এন্ড ক্লিন এনার্জি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল ওয়েবিনার এর আয়োজন করা হয়। উক্ত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদশে লমিটিডেরে র্কাযনর্বিাহী কমটিরি চয়োরম্যান এবং চট্টগ্রাম বশ্বিবদ্যিালয়রে হসিাব বজ্ঞিান বভিাগরে প্রফেসর ড. মো: সেলিম উদ্দিন, এফসিএ, এফসিএমএ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও সৌরশক্তি গবেষক মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি তেনেগা ন্যাশনালের অধ্যাপক ড. নওশাদ আমিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার এবং সঞ্চালনা করেন দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাব । উক্ত ভার্চুয়াল আলোচনায় প্যানেল আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ভৌত বিজ্ঞান’র সদস্য মাসুদ কামাল, ভারতের বোম্বে মাদারস এন্ড চিলড্রেনস ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাধব সাথ, তরুণ উদ্যোক্তা সুপিক আনোয়ার, লাইটার অফ লাইট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সানজিদুল আলম শান্ প্রমুখ।
প্রধান অতথিি ড. সলেমি বলনে, বর্তমান সরকার বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে যা শতকরা হিসেবে প্রায় ৯২ শতাংশের বেশি। তবে ভবিষ্যৎ বাসযোগ্য, দূষণমুক্ত ও টেকসই পৃথিবী গড়তে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের ব্যবহারের বিকল্প নেই। এজন্য আমাদের দেশে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসসমূহ বিশেষত তুলনামূলক সহজলভ্য উৎস সোলার প্যানেল ব্যবহার ও এর গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে ভুলধারণাসমূহ পরিবর্তন করা জরুরি।
ড. নওশাদ আমিন বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌরশক্তির আধুনিকায়ন হচ্ছে এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এর সম্ভাবনার দ্বার প্রসারিত হচ্ছে। ভবিষ্যত টেকসই, বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব পৃথিবী গড়তে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের যথোপযুক্ত ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি এবং এ বিষয়ে অভিজ্ঞ পরামর্শকদের অন্তর্ভুক্ত করে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। নিউকিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের তুলনায় সৌরশক্তির গ্রহনযোগ্যতা সব দিক বিবেচনায় বেশি বলেও মত দেন সৌরশক্তির বিশ্বসেরা এই বিজ্ঞানী।
জাফর আলম বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন উন্নত দেশে পিক আওয়ার শুরু হয় সকালে যখন তাদের অফিসগুলোতে কাজ শুরু হয়। বাংলাদেশেও এরকম বৈপরীত্যের ধারা শুরু করা গেলে মানসম্মত ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসসমূহের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সমন্বয় সাধন জরুরি। মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশে শিল্পের বিকাশ ও বহির্বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতায় তাল মিলিয়ে চলতে মানসম্মত বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০৩০ সাল নাগাদ এসডিজি-৭, সর্বোপরি এসডিজি অর্জন করতে হলে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসসমূহ ব্যবহারের মাধ্যমে বিশেষত দেশের পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর এলাকাগুলো বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আনতে পারলে কাঙ্খিত সুফল আসবে। মাসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ এখনো অনেক কম। চলমান যে কয়টি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে তা আরো কমে যাবে। তবে নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে কার্বন নির্গমনের হার তুলনামূলক কম।