ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

‘ইন্সপায়ারিং উইমেন লিডার’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন মুবিনা

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-03-31, 12.00 AM
‘ইন্সপায়ারিং উইমেন লিডার’ অ্যাওয়ার্ড পেলেন মুবিনা

কর্মক্ষেত্রে সফলভাবে দায়িত্বপালনের স্বীকৃতি স্বরূপ ইন্সপায়ারিং উইমেন অ্যাওয়ার্ডের ষষ্ঠ আসরে ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন লিডার’ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন বিএটি বাংলাদেশ-এর লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মুবিনা আসাফ। সম্প্রতি ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিশেষ সম্মাননা প্রদানের এই আয়োজন করা হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে সফল নারীদের সম্মান জানিয়ে আসছে, যারা আগামী প্রজন্মের নারী কর্মজীবীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন। আইন পেশায় পুরুষদের প্রাধান্য থাকলেও মুবিনা আসাফ তার ২৫ বছরের সমৃদ্ধ পেশাজীবনে অসংখ্য প্রতিবন্ধকতা জয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

বিএটি বাংলাদেশের ১১০ বছরের ইতিহাসে মুবিনা আসাফ এই কোম্পানির লিগ্যাল অ্যান্ড এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রথম নারীপ্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। প্রতিষ্ঠানটির সফলতায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া, তরুণ নারী কর্মচারীগণের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত ।

মুবিনা আসাফের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশ, সামাজিক ও সুশাসন (ইএসজি) বিষয়ক কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনার জন্য সুনাম অর্জন করেছে। তার দায়িত্বকালে বিএটি বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব, কর্পোরেট দায়িত্ব ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছে।

এবারের আসরের ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন লিডার’ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি সম্পর্কে মুবিনা আসাফ বলেন, এই পুরস্কারটি আমার জন্য বিশেষ কিছু। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বললে, স্বপ্ন পূরণের জন্য নারীদের অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী ও স্বাধীনচেতা হতে হবে। নিজের ইচ্ছার প্রতি একাগ্রতা না থাকলে লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়। আমি আমার এই পুরস্কার সকল সাহসী নারীদের উৎসর্গ করতে চাই।

কর্মব্যস্ত পেশাদার জীবনের পাশাপাশি মুবিনা আসাফ প্রেরণা ফাউন্ডেশনের পরিচালক বোর্ডের সদস্য যা, এসডিজি অর্জনে নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষকদের টেকসই উন্নয়ন, দক্ষতা ও সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে চলেছে। এছাড়া তিনি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘এসইআইডি ট্রাস্ট’ এর বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এই সংস্থাটি বিশেষভাবে-সক্ষম মানুষগুলির সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও অধিকার আদায়ে কাজ করে। পাশাপাশি তিনি পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের পরিচর্যাকারী প্রতিষ্ঠান ‘কেয়ার ইন নিড’-এর একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি, এবং পথশিশুদের জন্য কাজ করা প্রতিষ্ঠান ‘আস্থা’র সহায়তা প্রদানকারীদের একজন।