ছাত্র শিবিরের সম্মেলনে বলা হয়েছে, বিগত জুলাই অভ্যুত্থানে সংগঠনটির অগ্রণী ভূমিকা ছিল। আগামীতেও যেকোনও আন্দোলনে নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন-২০২৪ এর উদ্বোধনী সেশনে জামায়াত ও শিবিরের শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যে এসব কথা উঠে আসে।সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছিল। চর দখলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে দখল করা, চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও আধিপত্যবাদী বজায় রাখতে ক্যাম্পাসগুলোকে অস্ত্রাগারে পরিণত করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেই ব্যবস্থার কবর রচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশে আর কোনও চাঁদাবাজ, আধিপত্যবাদ ও দখলবাজের স্থান হবে না।’তিনি বলেন, ‘বিগত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামী দুঃশাসন বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ, বিশেষ করে ছাত্র ও যুবসমাজ কোনও দুঃশাসন মেনে নেয় না। সেটা চব্বিশের অভ্যুত্থানের প্রমাণিত হয়েছে।‘স্বাধীনতার সাফল্যকে হাইজ্যাক করে একটা রাজনৈতিক দল দেশে এক দলীয় শাসন কায়েম করে রেখেছিল। কিন্তু ছাত্রসমাজ ১৫ বছরের মাথায় তাদের সেই দুঃশাসনকে পরাজিত করে নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছে। বাংলাদেশে আর কোনও আধিপত্যবাদ ও দুঃশাসন এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।’ যোগ করেন তিনি।
সম্মেলনের সমাপনী বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এ দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সেই মানুষের আকাঙ্ক্ষার জন্য ছাত্রশিবিরকে সব ভয় উপেক্ষা করে ভূমিকা পালন করে যেতে হবে।’
সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন ৮ আগস্ট (৫ তারিখ গুলিবিদ্ধ) বুলেটের আঘাতে মৃত্যুবরণ করা রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী রায়হানের বাবা মো. মুসলেহ উদ্দিন। এ সময় মঞ্চে ছিলেন– জুলাই বিপ্লবে হওয়া শহীদ আবু সাঈদ, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, ওয়াসিম, উসমানসহ শহীদ পরিবারের সদস্যরা, আওয়ামী লীগ আমলে অত্যাচারে আহত ও গুম হওয়া পরিবারের অনেক সদস্যরা।
আরও বক্তব্য রাখেন– জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। আরও উপস্থিত ছিলেন– নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, মাওলানা শামসুল ইসলাম ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিরা।