ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৬ই ডিসেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২

স্টাফ রিপোটার।। ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-12-07, 12.00 AM
আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ২

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে জেলার রায়পুরা উপজেলার মেতিকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- রায়পুরার মেতিকান্দা এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে ও চান্দেরকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মানিক মিয়া ও কল্পনা বেগম। তারা আবিদ হাসান রুবেলের সমর্থক।আব্দুল বাসেদ মেম্বার সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও রায়পুরা আসনের এমপি রাজি উদ্দিন আহামেদ রাজুর সমর্থক। যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেলও তার সমর্থক ছিলেন। তবে গেলো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি রাজুর সমর্থন না পাওয়ায় তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় রুবেলের। পুলিশ জানায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর রাজি উদ্দিন আহামেদ রাজুর এক সময়ের সমর্থক যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেলের সঙ্গে অপর সমর্থক বাসেদ মেম্বারের দ্বন্দ্ব চলছিল। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে এই দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়। এরই জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইসব সংঘর্ষে একাধিক ব্যক্তি নিহত ও আহত হন।সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী সুমন মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করেন যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেল ও তার সমর্থকরা। এ ঘটনায় রুবেল গা ঢাকা দেন। সম্প্রতি মামলায় জামিন নিয়ে এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান। এতে প্রতিপক্ষ বাসেদ মেম্বার গ্রুপের সমর্থকরা বাধা দেন। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

শনিবার ভোরে গোলাবারুদ ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় আবিদ হাসান রুবেলের সমর্থক মানিক মিয়া ও কল্পনা বেগম গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। খবর পেয়ে রায়পুরা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।এদিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আবিদ হাসান রুবেলের নাম লেখাসহ সংবাদ প্রকাশ কারায় সম্প্রতি রায়পুরা রিপোর্টার ক্লাবের সভাপতি মনিরুজ্জামানকে গুলি করেন রুবেল সমর্থকরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মনিরুজ্জামানকে ঢাকায় পাঠানো হয়। তাছাড়া স্থানীয় সংবাদিকদেরকেও হুমকি ধামকিসহ মারধর করেন তার সমর্থরা। ফলে সংঘর্ষে দুইজন মারা গেলেও স্থানীয় সাংবাদিকরা হাসপাতাল বা এলাকায় গিয়ে সংবাদ সংগ্রহে ভয় পাচ্ছেন।নরসিংদী পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। এই মুহুর্তে এলাকায় পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।