বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এভাবে দেশ চলতে পারে না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে জনগণের আশাআকাঙ্খাকে পদদলিত করে কখনোই আওয়ামী লীগ সরকার টিকে থাকতে পারবে না।তাদের অবশ্যই চলে যেতে হবে।সোমবার (২৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যের সংঘর্ষে নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত কয়েকদিন যাবত লক্ষ্য করছি এই সরকার নিরীহ মানুষের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। অনেক মানুষকে হত্যা করেছে, গ্রেফতার করেছে। আমাদের দলের নিপুণ রায়সহ ছাত্রদল, যুবদলের অসংখ্যা নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি বলেন, আজকে পরিকল্পিতভাবে সংসদকে রাবারস্ট্যাম্প সংসদে পরিণত করা হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে নিজেদের পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে। এ সরকারকে অবশ্যই চলে যেতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সকালেই খবরের কাগজে দেখলাম নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, চাল-ডাল-তেল লবণের দাম আকাশচুম্বি হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে।
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। অন্যথায় প্রতিটি কতৃত্ববাদী সরকারের যে পরিণতি হয়েছে আপনাদেরও সেভাবে বিদায় নিতে হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা কদিন যাবত দেখছি, দেশে কি হচ্ছে, ঢাকায় কি হচ্ছে এতে নাকি বিএনপি ইন্ধন যোগাচ্ছে। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, বিএনপি নিজেদের আন্দোলনে বিশ্বাসী। কাউকে প্ররোচনা দেওয়ায় বিশ্বাসী নয়। বরং আওয়ামী লীগই উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে।
মহানগর উত্তর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মুনসী বজলুল বাসিত আনজুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম নকী, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাসার, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হাবীবুর রশীদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ওলামা দলের সভাপতি শাহ মো. নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।