প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এটাই জাতির পিতার স্বপ্ন। তাঁর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ব, এটাই প্রতিজ্ঞা।'রোববার (২৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন তিনি।শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সারাবিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধানরা শুভেচ্ছা দিয়েছেন। এটা আমাদের সম্মানের, এটাই আমাদের সার্থকতা। বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাশে ছিল, এখনও আছে। তাদের সহযোগিতায় আমরা মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করেছি।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পরে ইতিহাসকে বিকৃত করা চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়েছে। ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু আর্দশ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা এখন সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। ১২ বছরে আমুল পরির্তন হয়েছে। জাতির পিতার যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, সেই দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করতে হবে। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, 'স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে পাঁচ দেশের প্রধান এসেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ২৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে শুভেচ্ছাবার্তা আমরা পেয়েছি। এটা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এটাই আমাদের সার্থকতা। তিনি বলেন, সময়ের অভাবে সব বার্তা শোনাতে পারিনি। সমস্ত বার্তা রক্ষিত আছে। তৃণমূল পর্যন্ত প্রচার করতে হবে। তাদের শুভেচ্ছাবার্তা যেন জনসাধারণ জানতে পারে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনকে এগুলো প্রচারে কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সবুজ বাংলা আরো সবুজ করতে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কোনো জলাশয় যেন অনাবাদি না থাকে। খাদ্য উদপাদন করে নিজেদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় বলা যায় না। যাতে অন্তত খাদ্য সংকট না হয়। আমরা নিজের খাদ্য নিজেই জোগান নিশ্চিত করে অন্যকেও দেব।'
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, 'ভ্যাকসিন দেওয়া অব্যাহত থাকবে। তবে কেউ যাতে মাস্ক ছাড়া বাইরে না যায়। নিরাপদ দূরত্ব মেনে বসতে হবে। সভা-সেমিনার-কর্মশালা স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে করতে হবে। যতদূর সম্ভব খোলা জায়গায় কর্মসূচি করতে হবে। ঘরের মধ্যে করলে করোনার প্রাদুর্ভাব আরো বেশি দেখা দেয়।'
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, 'করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। সব অনুষ্ঠান সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। পাশাপাশি গেল বছর মানুষের পাশে যেমন দাঁড়িয়েছেন, তেমনি সামনেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষ যেন কষ্টে না থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা যা করার করব। কিন্তু দল হিসেবে আওয়ামী লীগও মানুষের পাশে থাকতে হবে।'
সভায় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী সভায় এর চেয়ে কম সংখ্যক উপস্থিত থাকতে হবে। নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলতে হবে। যেকোনো অনুষ্ঠান, সভা-সেমিনারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।