শনিবার (২৭ মার্চ) মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে জনসভার মাধ্যমে অল ইন্ডিয়া মজলিসে ইত্তেহাদুল মুসলেমিন (মিম) প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। ইতিপূর্বে তিনি কলকাতার দক্ষিণ প্রান্তের বন্দর সংলগ্ন মুসলিম প্রধান মেটিয়াবুরুজ এলাকায় জনসভা করে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস দক্ষিণের হায়দরাবাদের প্রভাবশালী নেতা ওয়াইসিকে সভার অনুমতি দেয় নি।
বিহারের নির্বাচনের সাফল্য লাভের পর পরই মিম বাংলার ভোটে অংশগ্রহণের কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস, বামপন্থী সহ সকল রাজনৈতিক শক্তিই পশ্চিমবঙ্গে মিম-এর আগমনের বিরোধিতা করে। এমনকি ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে ঐক্য গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় মিম। বাম ও কংগ্রেস পিরজাদাকে নিয়ে সংযুক্ত মোর্চা গঠন করলেও তাতে মিম'কে নেওয়া হয় নি।
ফলে রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করে মিম কলকাতার মুসলিম অধ্যুষিত রাজাবাজার, চৌরঙ্গী, মৌলালি, এন্টালি, পার্ক সার্কাস, একবালপুর, খিদিরপুর, আলিপুর এবং মুসলিম প্রধান মুর্শিদাবাদ, মালদাহ, দিনাজপুর জেলায় কার্যক্রম শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে মিম প্রধান উত্তরবঙ্গে ব্যাপক গণসংযোগ ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন এবং প্রস্তুত করছেন ভোটের মাঠ।
ওয়াইসির সফরসঙ্গী, সর্বভারতীয় যুবনেতা সাবির গাফফার জানান, মিম ও ওয়াইসির প্রতি বাংলার দলিল, সংখ্যালঘু, নিপীড়িত মানুষের ব্যাপক সমর্থন লক্ষ করা যাচ্ছে। নিজেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য জনতা মিম-এর নেতৃত্বে ক্ষমতার পালাবদল চায়।
সাবির গাফফার বলেন, যারা সংখ্যালঘু ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করে, তারাই মিম ও ওয়াইসির বিরোধিতা করছে। মিম বা ওয়াইসি কোথাও কখনো ধর্মীয় বিষয়ে কথা বলে না। মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়ন মিমের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। এটাই মিমের জনপ্রিয়তার ভিত্তি, যা অন্য সুবিধাবাদী দলগুলোর ভয়ের কারণ।
নিম সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, যে, আপাতত পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সাংগঠনিক বিকাশের মাধ্যমে দলের রাজনীতি কেন্দ্রীভূত রাখা হবে। প্রদেশের রাজনীতিতে মিম অচিরেই গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে কৌশলজনক পন্থায় অগ্রসর হচ্ছে। বাবা সাহেব আম্বেদকারের আদর্শকে সামনে রেখে মিম দলিত, পশ্চাৎপদ ও নিপীড়ন মানুষদের সংগঠিক করে অগ্রসর হচ্ছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।