রাজধানী মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের এডহক কমিটি গঠিত হয় ২/৯/২০২৪ ই তারিখে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের জারিকৃত এক অফিস আদেশ মোতাবেক তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদকে উক্ত কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করা হয়। প্রচলিত বিধি মোতাবেক উক্ত কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আখলাক আহমদ। অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আবুল হাসান মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম। শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ। আবুল হাসান মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম ২০০৯ সন পর্যন্ত ২ বার মনিপুর উচচ বিদ্যালয় ও কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচিত সদস্য ছিলেন।এখানে উল্লেখ্য যে, আবুল হাসান মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নূর মোহাম্মদ মিয়ার নাতি এবং অপর প্রতিষ্ঠাতা আবদুল লতিফ মিয়ার ছেলে।এলাকাবাসী তথা মিরপুরবাসী, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মণ্ডলী, অভিভাবক - অভিভাবিকা এবং শিক্ষাথীরা নূরুল ইসলাম কে একজন সৎ, নির্লোভ শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, জনদরদী , প্রভাবশালী ও নীতিবান হিসেবেই জানে।নির্বাচিত গভর্নিং বডি আসার পূর্ব পর্যন্ত এই কমিটি প্রতিষ্ঠানটি সমুদয় কাজ পরিচালনা করবে।২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ২ নভেম্বর পর্যন্ত মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কোনো গভর্নিং বডি বা কমিটি ছিল না।বিগত পতিত সরকারের প্রতিনিধি কামাল আহমেদ মজুমদার নিজে এবং তার প্রত্যক্ষ- পরোক্ষ মদদে তার দোসররা বিশেষ করে বেআইনি ভাবে নিয়োগকৃত দাম্ভিক , দুর্নীতি গ্রস্থ অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেনের সীমাহীন দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, আত্মসাত, চুরি, লুণ্ঠন, স্বজনপ্রীতি, টেন্ডার বিহীন, অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন কাজ, শিক্ষার্থী ভর্তি বানিজ্য, শিক্ষক- কর্মচারি নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে একটি প্রথম শ্রেণীর সেরা প্রতিষ্ঠানটিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করা হয়।এস.এস.সি পরীক্ষায় ৮২ % অ+ পাওয়া প্রতিষ্ঠানটিতে বিগত এস . এস. সি পরীক্ষায় ২০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ফেল করে। যা শুনে সচেতন অভিভাবক - অভিভাবিকা , শিক্ষার্থী এবংএবং সংশ্লিষ্টরা মর্মাহত হয়ে যায়। বিদ্যালয়ের হৃত গৌরব ফিরে আনতে নবগঠিত এই কমিটি নিরলস , সাহসী ও যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে বলে এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা আশা করে।এখানে উল্লেখ্য যে, সেরা মানের এই বিদ্যালয় টিকে তথাকথিত ট্রাস্টের নামে আওয়ামী ব্যক্তি মালিকানাধীন তথা কামাল আহমেদ মজুমদারের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করার লক্ষ্যে জামায়াত মুক্ত করার নামে সৎ,যোগ্য, নিবেদিত প্রাণ, শিক্ষার্থী প্রিয় শিক্ষকদেরকে মিথ্যা অজুহাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়।পরবর্তীতে ২০২১ - ২০২২ সনে সীমাহীন দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত প্রতিষ্ঠানটি উদ্ধারের জন্য সচেতন এলাকাবাসী, অভিভাবক-অভিভাবিকা ও শিক্ষক শিক্ষিকারা এগিয়ে আসে।দুর্বার আন্দোলনের ফলে কামাল আহমেদ মজুমদারের নিয়োগকৃত কমিটি বিলুপ্ত হয় ও প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।এই আন্দোলনের খবর সেই সময়ের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হয়। ঐ সময়ে আন্দোলনকারীরা অন্যায়ভাবে অপসারণকৃত শিক্ষকদের পক্ষেও বক্তব্য দেন।