বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র নিয়ে রাষ্ট্রপতি দুই ধরনের বক্তব্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে থাকার নৈতিকতাকে নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। তারপরও এই মুহূর্তে কোনো সংকট তৈরি কাম্য নয়, একটি মহল পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। আমরা সন্ত্রাসী ও গনহত্যায় জড়িত আওয়ামী ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করায় স্বাগত জানাই।২৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) পার্টির প্রচার সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন খান সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে লেবার পার্টির নেতৃদ্বয় একথা বলেন।নেতৃদ্বয় বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি তার পদে থাকবেন কি থাকবেন না এই প্রশ্নটি এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সুতরাং রাজনৈতিক সমঝোতা ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা উচিত। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে-ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যে গণআকাঙ্খা তৈরি হয়েছে, তার চূড়ান্ত বিজয় রুখতে ষড়যন্ত্রকারী ও ক্ষমতালোভিরা এখনো তৎপর। এই অবস্থায় কোন রকমের হটকারী সিদ্ধান্ত গ্রহন করার বিষয়ে সকলকে ভাবতে হবে। রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হওয়ার পর সেই শূন্যতাকে স্বৈরাচারের দোসররা যেন কাজে লাগাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ কর্মপন্থা তৈরী করতে হবে। একই সাথে রাষ্ট্র, সংবিধান ও রাজনীতি সংস্কারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাতীয় ঐক্যের আহবানকে স্বাগত জানিয়ে নেতৃদ্বয় বলেন, লেবার পার্টির মনে করে, পতিত স্বৈরাচারের রেখে যাওয়া দোসর ও ফ্যাসিবাদী কাঠামোর পুরোপুরি বিলুপ্ত এবং রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কার ছাড়া জনগনের আকাঙ্খিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মান সম্ভব নয়। এগুলো ছাড়া শুধুমাত্র একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুধুমাত্র সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ক্ষমতার পালাবদল হলেও জুলাই-আগষ্টের বিপ্লবের আকাংখা অপূর্ণই থেকে যাবে। সংবিধানসহ অন্যান্য রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ‘জাতীয় ঐক্যের’ কোন বিকল্প নাই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি