ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

‘ দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে আলটিমেটাম

ষ্টাফ রিপোটার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-10-16, 12.00 AM
‘ দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে আলটিমেটাম

হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। একই দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল আদালত চত্বরে অবস্থান করছে।বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সামনে অবস্থান নিয়ে এই আইনজীবীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আইনজীবীরা একটি মিছিল করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আরও একটি মিছিল আদালত চত্বরে প্রবেশ করে অ্যানেক্স ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।বিক্ষোভকারী আইনজীবীরা বলেন, রাষ্ট্রের ভঙ্গুর অবস্থার জন্য দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ বিচারপতিরাও দায়ী। তাদের স্বেচ্ছায় সরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সরেননি। আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর বিচারপতিরা পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এ কর্মসূচি।বিক্ষোভকালে আইনজীবীদের স্লোগান ছিল ‘আইনজীবী-জনতা, গড়ে তোলো একতা’, ‘দফা এক দাবি এক, দলবাজদের পদত্যাগ’, ‘ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মারা, হুঁশিয়ার সাবধান’।এদিকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে যাত্রা শুরু করে শিক্ষার্থীদের আরেকটি মিছিল ভিসি চত্বরে হয়ে রাজু ভাস্কর্যে ফিরে আসে। এরপর দোয়েল চত্বর হয়ে হাইকোর্টের দিকে যায়।

 

হাজারের বেশি শিক্ষার্থী মিছিলে রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির সঙ্গে হাইকোর্টে থাকার কথা রয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যদেরও। সকাল থেকেই হাইকোর্টের প্রবেশপথে ব্যাপকসংখ্যক পুলিশ সদস্য অবস্থান নেন।

 

সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। এ সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।

 

আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।  

 

মঙ্গলবার রাতে নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্টে দিয়ে এ কর্মসূচির ডাক দেন তারা। ফেসবুক পোস্টে তারা লেখেন, ‘আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার বেলা ১১টায় হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি। ’

 

এর আগে গত ১০ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ডাকেই হাইকোর্টে জড়ো হন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের  শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তাদের দাবির প্রেক্ষাপটে ওইদিনই পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতি।