ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে:সেলিমা

ষ্টাফ রিপোটার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-10-11, 12.00 AM
যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে:সেলিমা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সেলিমা রহমান অন্তর্র্বতী সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। ৫ আগস্টের স্বাধীনতা কোনো একনায়কত্ব চায় না। বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখায়। কোনো বৈষম্য থাকবে না। উচ্ছৃঙ্খলতা ও চাঁদাবাজি এখনো চলছে। সে বিষয়ে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সতর্ক থাকবেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে সামনে এগিয়ে যান।শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের নেতা মাইনুল ইসলাম বাদল তালুকদার ও সঞ্চালনা করেন আবুল বাশার আহমেদ।

সেলিমা রহমান বলেন, গত আন্দোলনে আমাদের মা-বোনরা, সন্তানরা শহীদ হয়েছেন। আমার স্বাধীন হয়েছি ঠিকই। শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। তবে আমাদের লক্ষ্য অর্জন হয়নি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। দীর্ঘদিন কারাগারে রেখে বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থ করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপিকে জনগণের দলে পরিণত করেছেন। যেদিন সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারব সেদিন আমাদের সুদিন হবে। আমাদের শহীদরা সার্থক হবে। বাংলাদেশের জন্য আমাদের ত্যাগ কাজে আসবে।

তিনি বলেন, বিগত আন্দোলনে ছাত্রজনতা সবার অবদান ছিল। আমরা বিভাগীয় সমাবেশ করেছি প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে। বাধা উপেক্ষা করে মানুষ সমাবেশ সফল করেছেন। তারা দুই থেকে তিন দিন আগেই সমাবেশে অংশ নিতে ছুটে আসেন। অথচ সমাবেশ যাতে সফল না হয় সরকারের লোকের পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছিল। মূলত তারা ভয় পেয়ে এসব করেছিল। যেমনটি করেছিল ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ সিনিয়র অনেক নেতাকে তারা কারাবন্দি করেছিল। গত আন্দোলনে সবার অংশীদারত্ব আছে। সুতরাং দুঃখ পাওয়ার কিছু নাই।

সেলিমা রহমান বলেন, ড. ইউনূস বাংলাদেশের গর্ব। তার নেতৃত্বে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি প্রয়োজনীয় সংস্কার ঘরে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন। আজকে পুলিশ কাজ করছে না। ডিবির সাবেক কমিশনার হারুন আমেরিকায় বসে মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দেয়! তাকে কে পাচার করেছে? আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা এখনো ঘাপটি মেরে আছে। তারা গার্মেন্টস শিল্পসহ নানাভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায়। বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য গণতন্ত্র, সুশাসন ও ভোটাধিকার। আমাদের অনকে কাজ এখনো বাকি। কত যে শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন তার সঠিক হিসাব নেই।