দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে পাড়ি দিয়ে চলেছেন ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পথ, সামাল দিয়েছেন বহু শোক আর সংকট—তবু দমে যাননি। ষড়যন্ত্র-সমালোচনা আর শতমুখী অপপ্রচারের শিকার হয়েও এগিয়ে চলেছেন দৃপ্ত পদক্ষেপে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার আবির্ভাব ঘটেছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দলটির বর্তমান চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র হিসেবে; কিন্তু নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দেড় দশকের নিরলস সংগ্রামী পথচলা তাকে দিয়েছে স্বতন্ত্র এক পরিচিতি। পারিবারিক পরিচয় ছাপিয়ে তারেক রহমান এখন অনন্য স্বনামে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে বিএনপির প্রবল দুঃসময়ে দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে তারেক দলকে টেনে তুলেছেন খাদের কিনারা থেকে। সেই কৃতিত্ব তাকে বিএনপির রাজনীতিতে বসিয়েছে অবিসংবাদিত নেতার আসনে; একই সঙ্গে তিনি দেশের সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে হয়ে উঠেছেন সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক রাজনীতিবিদও।
রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির বাইরে মানবিক মানুষ হিসেবেও অনন্য এক ব্যক্তিত্ব তারেক রহমান। তুমুল প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আর্তমানবতার সেবায় পিছপা হননি কখনো। তবে সেবামূলক এসব কর্মকাণ্ডকে নিজের প্রচারণার অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করার প্রবণতা তার ছিল না কখনো। তাই রাজনীতির বাইরে তারেক রহমানের মানবিক কর্মকাণ্ডের লম্বা ফিরিস্তি সবসময় রয়ে গেছে আড়ালে। তিনি নিজেও এসব করে চলেছেন নীরবে-নিভৃতে। অন্য এই তারেক তাই অনেকের কাছেই অচেনা। অথচ তার বদান্যতায় প্রতিনিয়ত হাসি ফুটছে অগণিত অসহায়, বৃদ্ধ, এতিম, পঙ্গু ব্যক্তি কিংবা তাদের পরিবারের পাশে। একই সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে নির্যাতিত-নিপীড়িত নেতাকর্মী থেকে শুরু করে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের সমর্থকের পাশেও তারেক রহমান পরম নির্ভরতার ছায়া হয়ে আছেন সবসময়। বিএনপির মতো বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব সামাল দিয়ে এমন একাগ্রতার সঙ্গে মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সহজ নয় মোটেও।
বিএনপির দায়িত্বশীল এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা বলেন, তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে কেবলই অপপ্রচারের শিকার। ২০১৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক। আওয়ামী লীগের দমনমূলক আচরণ এবং সুবিস্তৃত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আট বছর ধরে দলকে সামলে রেখেছেন তিনি। তার সুদক্ষ নেতৃত্বের কারণে সেই সময়কার ক্ষমতাসীনদের শত চক্রান্তেও বিএনপি কক্ষচ্যুত হয়ে যায়নি, ভাঙনের আঁচ লাগেনি দলে। উল্টো তারেক রহমানের দৃঢ়তার সামনে ষড়যন্ত্রকারীরাই পরাস্ত হয়েছে। এমন অটল মনোভাবের কারণে তারেকের নেতৃত্বে বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি নেতাকর্মী এখন ঐক্যবদ্ধ।
গত ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে যে প্রেক্ষাপট তারেক রহমান তৈরি করেছেন; মূলত সেখান থেকেই গত আগস্টে ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থানের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে। এ বিষয়ে বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতারা জানান, গুম-খুন ও হামলা-মামলা, নির্যাতন উপেক্ষা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কৌশলে সম্পৃক্ত করে তারেক রহমানই আন্দোলন সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যান। একপর্যায়ে গত জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের পতন ঘটে। এরপর সরকারবিহীন একটি দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফেরাতে দলীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনায় দায়িত্বশীলতা দেখানোর পর অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠিত হলে তাদের চলার পথকে সুগম করতেও নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন তারেক রহমান। ছাত্রজনতার আন্দোলনে আহত এবং নিহতদের পরিবারের খোঁজ নিয়েছেন, তাদের প্রতি সহায়তা এবং সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ এবং সার্বক্ষণিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তারেক রহমানের নির্দেশে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও বিএনপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের কাছে গিয়ে নিয়মিত খোঁজখবরও নিচ্ছেন।
এসব বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সীমাহীন নিযার্তনে বিএনপি নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যেও অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহায্য করে যাচ্ছেন তারেক রহমান। রাজনীতি হচ্ছে জনগণের কল্যাণের জন্য। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। একজন রাষ্ট্রনায়কের কর্মকাণ্ড তো এমনই হওয়া উচিত।
তারেক রহমানের মানবিক কার্যক্রমে শুরু থেকে সম্পৃক্ত একাধিক নেতাকর্মী জানান, ২০০৫ সাল থেকে জোরালোভাবে মানবিক কাজে মনোযোগ দেন তারেক। সামাজিক আয়োজন থেকে শুরু করে চিকিৎসা ও শিক্ষাগত প্রয়োজন মেটাতে নিজ উদ্যোগে তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন বহুজনের। তার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় মাদ্রাসা, এতিমখানা, হাসপাতালসহ বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তবে এতটাই নীরবে এসব কর্মকাণ্ড তিনি পরিচালনা করে চলেছেন যে অনেক স্থানীয় নেতাকর্মীরও জানা নেই, তার এলাকায় তারেকের ব্যবস্থাপনার চলছে নানা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এবং আমরা বিএনপি পরিবার নামে আরও দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও চলছে তারেকের মানবিক উদ্যোগ। বর্তমানে প্রায় দেড় হাজারেরও বেশি অসহায়, বৃদ্ধ ও এতিমের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছেন তারেক রহমান। রাজনৈতিক সমীকরণে যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত হয়েও বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এসব কর্মকাণ্ড তদারকি করেন তিনি।
বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, গত ১৬ বছরে তারেক রহমান অসংখ্য মানবিক কর্মকাণ্ড করেছেন। ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে শুরু করে মহামারি করোনার সময় তিনি যেসব কাজ করেছেন, তা নজিরবিহীন। সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হতাহতদের চিকিৎসা ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। তারেক রহমান একজন মানবিক রাজনীতিবিদ।
বিএনপির ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, তারেক রহমান মানবিক রাজনীতির প্রতিচ্ছবি। তিনি বাংলাদেশে নতুন ধারার রাজনীতি চালু করতে চান। কিন্তু স্বৈরাচারী দল আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। অথচ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তার নেতৃত্বে বিএনপির প্রত্যেক নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।
আমরা বিএনপি পরিবার নামক সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, ‘তারেক রহমান শুধু রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত নন; তিনি অনেক মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা, গবাদি পশু ও সার, বীজ বিতরণসহ করোনার সময় ওষুধ সামগ্রী বিতরণ, হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপন, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া, নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়াসহ অসংখ্য মানবিক কাজ করেছেন। যদিও তিনি এসব কাজ প্রকাশ্যে আনতে চান না। তার এসব মানবিক কর্মযজ্ঞ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমাদেরও অনুপ্রাণিত করে। যারা উপকৃত হচ্ছেন তারাও জানতে পারেন না এটি তারেক রহমান করছেন। তারা মনে করেন, বিএনপি বা নেতাকর্মীরা তাকে সহযোগিতা করছেন।’
যেভাবে মানবিক কর্মকাণ্ডে তারেক রহমান এ ব্যপারে মিডিয়া সেলের একজন দায়িত্ববান নেতা শায়রুল কবির খান জানান, ২০০৫ সালের কোনো এক শুক্রবার রাতে বনানীর অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলেন তারেক রহমান। হঠাৎ দেখতে পান বনানী ১১ নম্বর সড়কের ফুটপাতে একজন অসহায় বৃদ্ধার মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছে। পাশে ওই বৃদ্ধার মেয়েও দাঁড়িয়ে। এ দৃশ্য দেখে গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পরে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে দোকান ও ঘর নির্মাণ করে দেন সেই নারীকে। সেই থেকে আর্তমানবতার সেবায় ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হন তিনি।
গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের ছররা গুলিতে গুরুতর আহত কলেজছাত্র ইলহাম সরকারের উন্নত চিকিৎসার জন্য শুরু থেকেই অভিভাবকের মতো পাশে দাঁড়ান তারেক রহমান। গত ২০ সেপ্টেম্বর দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ডাক্তারের সমন্বয়ে ইলহামের চিকিৎসার উদ্যোগ নেন। প্রয়োজনে গুলিবিদ্ধ ইলহামকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বগুড়ার গাবতলীর একজন গ্রাম্য ডাক্তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে হৃদরোগে মারা যান। বিষয়টি জানার পর তারেক রহমান নিজেই ওই ব্যক্তির দুই সন্তানসহ তিন শতাধিক পরিবারের শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়া শিক্ষার্থীদের ১৪ জনের মতো চিকিৎসক হয়ে এখন দায়িত্ব পালন করছেন। মেডিকেলে পড়ছেন আরও কয়েকজন। সেনাবাহিনীতেও দুজন চাকরি পেয়েছেন। পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে এই দুজনের লেখাপড়ার সব খরচ বহন করেছেন তারেক। তার তত্ত্বাবধানে পড়াশোনা করে সাত থেকে আটজন প্রকৌশলীও হয়েছেন।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার লাঠিগঞ্জের তিনমাথার মোড়ে এতিমদের জন্য একটি মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। এখানকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশিরভাগই দৃষ্টিশক্তিহীন, বাকিরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকও অন্ধ। ২০১১ সালের দিকে মাদ্রাসাটির তথ্য জানতে পারলে তারেক রহমান খোঁজ-খবর নিয়ে মাদ্রাসাটি পরিচালনার দায়িত্ব নেন। ২০১৭ সালে মাদ্রাসায় চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করা হলে কিছু শিক্ষার্থীর চোখে ত্রুটি ধরা পরে। তারেকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা পেয়ে ৭ শিক্ষার্থী এখন চোখে দেখতে পাচ্ছে। এই এতিমখানার মতো আরও ৫টি এতিমখানার দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
২০১৪ সাল থেকে সারা দেশে ১৪৪ পরিবারকে প্রতি মাসে ভাতাও দিচ্ছেন। এ ছাড়া গুম, খুন হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর মধ্যে ৩ জনের বিয়ের আয়োজন করেন। ফেনী, বগুড়া ও সাতক্ষীরায় এই বিয়ের আয়োজন হয়। তারেক রহমান বিভিন্ন এলাকায় অসহায় বেশ কয়েকটি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। তারেক রহমান এসব কাজের অর্থের ব্যবস্থা করে দিলেও স্থানীয় বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনের নেতারা তা বাস্তবায়ন করেন। বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও পুলিশের নির্যাতনে হাত-পা হারানো ১২ জনের কৃত্রিম হাত-পা সংযোজনের ব্যবস্থা করেছেন তারেক রহমান। একই সঙ্গে সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের ২০০ জনকে সহযোগিতা করেছেন তারেক রহমান।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যুবদল নেতা ফেরদৌসকে পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করার ১৫ দিন পর কারাগারে মারা যান তিনি। নিহত এই যুবদল নেতার পরিবারকে উপহার হিসেবে একখণ্ড জমি কিনে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন তারেক রহমান। নিহতের স্ত্রী জেসমিন আক্তার বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একখণ্ড জমি কিনে ঘর করে দেন। এতে করে সন্তানদের নিয়ে মাথাগোঁজার ঠাঁই হয়।
এদিকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত ময়মনসিংহের শহীদ হাফেজ মো. সাদেকের পরিবারকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর একটি দোকান বানিয়ে উপহার দিয়েছেন তারেক রহমান। সাদেকের পরিবারকে দোকান বুঝিয়ে দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সাদেকের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার ১নং দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়িতে। এ ছাড়া অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের মাধ্যমে সারা দেশে প্রতিনিয়ত অসহায় মানুষ ও দলের সমস্যাপীড়িত নেতাকর্মীদের সহায়তা করে আসছেন তারেক রহমান। অনেক ক্ষেত্রে তিনি নিজে সরাসরি সহায়তা করেন আর না হয় দলের বিত্তবান নেতাকর্মীদের সহায়তা করতে নির্দেশনা দেন।
জানা গেছে, প্রকৃতি এবং প্রাণী নিয়ে চিন্তা করেন তারেক রহমান। বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময়ে শুধু ঢাকাতেই এক লাখ নিমগাছ লাগিয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ সাল থেকে মিরপুর ও যাত্রাবাড়ীতে ‘বিড়াল বাড়ি’ নামে পরিচিত শতাধিক বিড়ালের খাদ্যের জন্য প্রতি মাসে সহায়তা দিচ্ছেন তিনি।