ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১২ই ডিসেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

ষ্টাফ রিপোটার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-09-26, 12.00 AM
সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকারের নেওয়া নানা সংস্কারে পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। অর্থনৈতিক সংস্কার, ডিজিটালাইজেশন, তারল্য, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহনে সংস্কারে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি ।বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় দুপুরে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি অন্তর্র্বতী সরকারের নেওয়া নানা সংস্কার উদ্যোগকে সমর্থন করে বাংলাদেশকে ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবেন বলে জানান। বৈঠকে ইউনূস তার শুরু করা সংস্কারকাজের জন্য বিশ্বব্যাংকের আরও সহায়তা চান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাইডলাইনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এ সমর্থনের ঘোষণা দেন।ইউনূসের দীর্ঘদিনের বন্ধু বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বঙ্গ বলেন, অন্তত দুই বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণ দেওয়া হবে এবং বিদ্যমান কর্মসূচি থেকে আরও দেড় বিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করা হবে।তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ডিজিটালাইজেশন, তারল্য, জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ ও পরিবহনে সংস্কারে সহায়তা করবে।বৈঠকে ড. ইউনূস অন্তর্র্বতী সরকার যে ব্যাপক পরিসরে সংস্কার শুরু করেছে তার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চান এবং বিশ্বব্যাংককে তার ঋণদান কর্মসূচি সম্পর্কে সৃজনশীল হতে বলেন।

এর আগে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকালে সাধারণ পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে তাদের মধ্যে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় দুই দেশের সরকারপ্রধান পারস্পরিক এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। এমনকি সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতেও ঐকমত্য পোষণ করেন তারা।

সাক্ষাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের উচিত নিজেদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের উন্মোচন করা। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করা এবং এটি খুবই জরুরি।

শরীফ বাংলাদেশের টেক্সটাইল ও চামড়া খাতে তার দেশের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ‘যুব কর্মসূচি’ বিনিময়ের প্রস্তাব দেন।