পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সামরিক আইনে বিচারের মুখোমুখি করার ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক করেছে তারা।শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলেন, সামরিক আইনানুসারে কেউ এ আইনের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার বা এমন কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে এই আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।ইমরান খানকে সামরিক আইনে বিচারের মুখোমুখি করার সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আদালতের বিবেচনার বিষয়। সাংবাদিকদের এ ধরনের প্রশ্নকে পূর্বানুমান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।ডন জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে কোন কোন পরিস্থিতিতে বেসামরিক লোকদের সামরিক আইনে বিচার করা যেতে পারে তা উল্লেখ করেন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সামরিক আইনে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন চলে আসছে। সম্ভাব্য কোর্ট মার্শাল ঠেকাতে তিনি ইসলামাবাদ হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়ার পর এ গুঞ্জন আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।
গত বছরের ৯ মের সহিংসতার ঘটনায় সামরিক আইনে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে এমন আশঙ্কায় আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের আইনবিষয়ক মুখপাত্র আকিল মালিক বলেন, ইমরান খানের বিচার পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট, ১৯৫২-এর আওতায় হতে পারে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের জেরে গত বছরের ৯ মে পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা দেখা দেয়। সেদিন সরকারি বিভিন্ন ভবনের পাশাপাশি সামরিক স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।