ডা, দিলিপ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক থেকে রাজনীতিক নেতা,র্স্বন,ডায়মন্ড, ইটভাটা,ঔষধের এক্সাসোরিস ব্যবসায়ী দিলিপ কুমার রায়। ড. দিলিপ কুমার রায় ফরিদপরের বোয়ালমারির ধোপা পরিবারের সন্তান । এই দিলিপ কমার ৮০র দশকে ছিলেন চতৃর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। এর পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এক নেতার অনুসারী হয়ে। এর পর থেকে দিলিপ কুমারের উত্থান যত না আকাশচুম্বি ততই রহস্যঘেরা। জয়কালী মন্দিরের হোমপ্যাথি কলেজে তিন বছরের ডিপ্লোমা করে হয়ে যান ড. দিলিপ কমার। কলেজটিতে হয়ে যান আউটডোর চিকিৎসক ও পিডি । এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তৎকালীন সময়ের কর্মকতারা কর্মচারীরা বলেন, তিনি প্রথমে চর্তুথ শ্রেনীর কর্মচারী হিসাবে যোগ দেন। পরবর্তীতে হোমিওপ্যাথি পাস করেন দিলিপ। এর পর থেকেই দ্রুত উপরের দিকে উঠে যান।রাজনীতির প্রভাবে প্রথমে ডাক্তার তারপর আর এমও । এর কিছু দিন পরেই হন হোমিও বোর্ডের চেয়ারম্যান। কলেজে ইনডোর চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ড. দিলিপ কুমার হয়ে যান এমাত্র আবাসিক চিকিৎসক আর এম ও। এরপর আরো উন্নতি হয় দিলিপ কুমারের ।২০০৯ সালে হোমিও চিকিৎসক থেকে হোমিও বোর্ডের চেয়ারম্যান হন তিনি । এখন আর কে সারাতে পারবে তাকে। এর পর থেকেই তিন বছর করে দিলিপ কুমার ৫ বার চেয়ারম্যান হন হোমিও বোর্ডের । মোট ১৫ বছর হোমিও বোর্ডের চেয়ারম্যান তিনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাকে ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি। আর এই পনেরো বছরেই তার এই অস্বাভাবিক অর্থের উত্থান হয়।
হোমিও বোর্ডের এক কর্মচারী জানান, দিলিপ কুমার চেয়ারম্যান থাকা কালে টাকার বিনিময়ে অনেক লোক নিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন। এর পর থেকেই তাকে আর কে পায়। ধোপা থেকে হয়ে যান র্স্বন ব্যাবসায়ী।
জানাযায়, ইন্ডিয়াতে তার ৭/৮টি বাড়ি আছে। এ ছাড়া রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে দুটি দোকান কিনে দুটি র্স্বনের দোকান ও নিউমার্কেট এবং বসুন্দরা মাকের্টেও কিনেন দুটি দোকান।এই দোকান গুলোর প্রতিটিতে রয়েছে ২০ কোটি টাকারও বেশি স্বর্ন ও ডায়মন্ড। এ ছাড়্রাও মাতুয়ালে তার রয়েছে গ্রমীন সুইটমিট বেকারী এন্ড ফুটস এর কারখানা। পরে মতিঝিল ,বায়তুল মোকররমসহ ঢাকার কয়েকটি এলাকায় এই ব্যবসা করেন তিনি। ছাপোষা ডা, দিলিপ কুমারের ফরিদপুরের বোয়াল মারিতে রয়েছে বিশাল অটো ব্রিকস কারখানা ও সাধারন ইটবাটা। সেগুন বাগিচার লোটাস টাওয়ারে রয়েছে দুটি ফ্লাট ও শান্তি নগরের স্কাই ভিউ পার্ক সিটিতে মেয়ের নামে কিনেন আরো একটি ফ্লাট। দিলিপ কুমারের পর্বাচলেও রয়েছে ৫ কাঠিার একটি প্লট। রাজধানীর জয়কালী মন্দির এলাকায় তৈরী করেন রায় হোমিও হল।
এদিকে ফরিদপুরের একটি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে আরো দুটি ফ্লাট। এ ছাড়া নামে বেনামে রয়েছে বিলাস বহুল কার। তিনি নিজ এলাকা ফরিদপুরের বোয়াল মারিতে করেছেন ডা. দিলিপ কুমার রায় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল। তিনি চেয়ারম্যানের ক্ষমতার অপব্যাবহার করে তার কলেজে চার দফায় ১ কোটি টাকা অনুদান নেন তিনি। মানিগঞ্জে গড়ে তুলেন এক্সাসেরিস কারখানা।
এদিকে ফরিদপুরের বোয়াল মারি এলাকায় কিনেন কয়েকশত একর জমি। ফরিদপুরেরপ নিজ গ্রামে করেছেন বিলাস বহুল বাড়ি। তার এলাকায় মানুষ জানায় কলকাতার মধ্যেম গ্রামে ও কানাডায় তার বাড়ি আছেন। এদিকে আরো অর্থ আয় করতে হোমিও পাথিবোর্ড ভেঙ্গে এখন বাংলাদেশ হোমিও প্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল করে সেখানে তিনি এখন নিবার্হী চেয়ারম্যান হিসাবেেআছেন।।
দিলিপ কুমার নতুন করে ২৭টি নতুন কলেজ অনুদোন দিয়ে এবং এসব কলেজে নতুন করে নিয়োগ দিয়ে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে অর্থের কুমির বনে গেছেন । ঢাকা মহানগর দক্ষিনের আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি হিসাবে রাজনীতির ক্ষমতা বলে বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম ব্যাবসায়ী গ্রুপের সাধারন সম্পাদক,পদ বাগিয়ে নেন দিলিপ কুমার । কলেজ অনুমোদন ও চাকরি দেয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। বিশিষ্ট জনেরা মনে করেন রাজনৈতিক পরিচয়ে দুনীর্তিবাজদের বিষয়ে দুদকের ক্ষতিয়ে দেখা উচিত।