স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি) এর ১০ দিনব্যাপী গৃহীত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১৮-০৩-২০২১ তারিখ বেলা ১১.০০ ঘটিকায় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিএইচবিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোঃ আফজাল করিম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিএইচবিএফসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম উদ্দিন, এফসিএ, এফসিএমএ। বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বিএইচবিএফসি’র সম্মানিত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী এবং জনাব তপন কুমার ঘোষ। আরো সংযুক্ত ছিলেন বিএইচবিএফসি’র মহাব্যবস্থাপক, উপ-মহাব্যবস্থাপক, অফিসার কল্যাণ সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গমাতা পরিষদ ও সদর দফতরসহ মাঠ পর্যায়ের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মোঃ সেলিম উদ্দিন বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রাম এবং অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ৪৬৮২ দিন অর্থাৎ প্রায় ১৩ বছর কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। তাঁর একমাত্র লক্ষ্য ছিল বাংলার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দূর করা, অন্যায়-অবিচার মুক্ত, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত সোনার বাংলা গড়ার। তিনি ছিলেন শোষিত বঞ্চিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। তিনি হলেন জাগ্রত ইতিহাস একটি জাতির জন্মদাতা। একটি স্বাধীন জাতিসত্তার অপরিমেয় অহংকার বর্নিল ঐশ্বর্য। তাই বঙ্গবন্ধু বাঙালি একসূত্রে গাঁথা। জাতির পিতা যে অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র মুক্ত ও উন্নত সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএইচবিএফসি’র সম্মানিত পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর চৌধুরী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির জন্মলগ্নের কিছু বাস্তবতা, বঙ্গবন্ধুর দর্শন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দার্শনিক ভিত্তি এবং বঙ্গবন্ধু কেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন এবং বর্তমান বাস্তবতা কেমন- এই তিনটি বিষয় চমৎকারভাবে বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন সাম্যের বাংলাদেশ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এবং মানুষে মানুষে ভালোবাসার বাংলাদেশই হলো বঙ্গবন্ধুর মূল দর্শন। তাই সবাইকে বঙ্গবন্ধুর দর্শন বাস্তবায়নে কাজ করার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথি সম্মানিত পরিচালক জনাব তপন কুমার ঘোষ তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা যে যেখানে আছি তা কেবল বাংলাদেশ স্বাধীন হবার কারণেই সম্ভব হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, কাজেই তাঁর প্রতি আমাদের ঋণ কখনও শেষ হবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান।