বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে চলমান এ আন্দোলনে রোববার দিনভর সারা দেশে সংঘর্ষ, গুলি ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিক্ষোভকারীরা চারজনের মরদেহ নিয়ে গেছেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহত ৪ জনের লাশ নিয়ে বিক্ষোভকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান। এ সময় আন্দোলনকারীরা নানা স্লোগান দেন। সেখান থেকে আন্দোলনকারীরা রাজধানীর শাহবাগ যাওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে পুলিশ বাধা দেয়।
দিনভর সংঘর্ষ, গুলি: সারা দেশে নিহত ৫২
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ। রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী থেকে ঝুমুর পর্যন্ত এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
এ নিয়ে দিনভর সংঘর্ষে সারা দেশে ৫১ জন নিহত হলেন। নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৫ জন, সিরাজগঞ্জে ৬ জন, কিশোরগঞ্জে ৪ জন, রাজধানী ঢাকায় ৪ জন, বগুড়ায় ৪ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ২ জন, কুমিল্লায় ২ জন, জয়পুরহাটে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ ৫২ জন নিহত হয়েছেন।
দিনভর সংঘর্ষ: ১৪ জেলায় নিহত ৪৩
আজ রোববার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি চলছে। সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচিতে এখন পর্যন্ত (সন্ধ্যা পৌনে ৬টা পর্যন্ত) নরসিংদীতে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, রাজধানী ঢাকায় ৪ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, বগুড়ায় ৪ জন, মাগুরায় ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, কুমিল্লায় ২ জন, জয়পুরহাটে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ ৪৩ জন নিহত হয়েছেন।