বরিশালে ‘সারাদেশে ছাত্র হত্যার বিচার কর, গণগ্রেফতার বন্ধ কর’ স্লোগানে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জে ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হল ও আদালতের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কোটা আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কসহ সারাদেশে শিক্ষার্থীদের মুক্তি এবং নয় দফা মেনে নেওয়ার দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।আন্দোলনরত বিজন সিকদার জানান, নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির আয়োজন করে। এতে বরিশালের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী এসে তাদের কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে বসে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের চেষ্টা চালায়। শেষে শিক্ষার্থীরা আদালতের মূল ফটকের সামনে এসে জড়ো হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পূণরায় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিচার্জে সাংবাদিকসহ ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম তানভীর আরাফাত সাংবাদিকদের বলেন, বেশ কিছু বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠন আন্দোলনে নেমেছে, যেহেতু কোর্ট এলাকায় নেমে অবরোধ করেছে, পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় তাই তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো শিক্ষার্থী নেই, তারা সবাই শিবির কর্মী। এছাড়া তিনি সাংবাদিকদের আহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।