জামায়াত-শিবিরকে আগামীকাল বুধবারের মধ্যে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা জানান তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশনা দিয়েছেন আগামীকালকের মধ্যে একটি ব্যবস্থা নিতে। আমি কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে বসব এবং সেখানে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কোন আইনি প্রক্রিয়ায় হবে, তা যখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব তখন বলব। বুধবারের মধ্যে কি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ইনশাআল্লাহ। বর্তমানে কোটা আন্দোলন চলছে, জামায়াত-শিবিরের মতো একটি শক্তিশালী সংগঠন এ মুহূর্তে নিষিদ্ধ করা হলে সরকার কোনো ঝামেলায় পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, যারা কোটা আন্দোলন করেছে তারা কিন্তু বলেছে, সহিংসতার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত আছে। জামায়াত, শিবির, বিএনপি ও ছাত্রদল যারা জঙ্গি, তারাই এটি করেছে৷ এ দলকে যদি নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং রাজনীতিরও অনেক উন্নতি হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মন্ত্রী আরও বলেন, কোনো দলকে যখন নিষিদ্ধ করা হয়, তখন তা নির্বাহী আদেশেই হয়, বিচার বিভাগীয় আদেশে হয় না। যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচার এক কথা এবং জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা আরেক কথা।
সোমবার গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট। উচ্চ আদালতের রায়ে ২০১৩ সালে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। জামায়াতের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছিল। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের পক্ষের আপিল খারিজ করে দেন। ফলে দলটির নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে।