ঢাকা, রবিবার ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

মতিঝিল,বাড্ডা মিরপুর ও যাত্রাবাড়ি রনক্ষেত্র

ষ্টাফ রিপোটার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-07-18, 12.00 AM
মতিঝিল,বাড্ডা মিরপুর ও যাত্রাবাড়ি রনক্ষেত্র

সারাদেশেই কমবেশি সংঘর্ষ চলছে। রাজধানী ঢাকায় গুরুত্বপুর্নএলাকায় চলছে সংঘর্ষ। কোথাও ছাত্রলীগের সাথে কোথাও পুলশের সাথে এই সংঘর্ষ হয়। চলছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ পালন করছেন আন্দোলনকারীরা। এরই ধারাবহিকতায় সড়কে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে প্রগতি সরণিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। রাজধানীর উত্তর বাড্ডা থেকে রামপুরা পর্যন্ত ব্র্যাক, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। সেখানে পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের পর এই এলাকায় যোগ দেন নর্থ সাউথ, আইইউবি, এআইইউবিসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও।যোগ দেওয়া শিক্ষার্থীরা মেরুল বাড্ডা এলাকায় এলে পুলিশ আবারও টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তবে ছাত্ররা পিছু হটে আবার সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে সামনে আগান।এসময় পুলিশের একটি ভ্যান লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশের গাড়ি দুটি রিকশাকে উলটে দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।

মিরপুর রণক্ষেত্র

এদিকে মিরপুর ১০ নম্বর রণক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে।,সংঘর্ষ চলাকালে ৫ মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হটিয়ে মিরপুর ১০ নম্বর দখলে নেওয়ার পর ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ।  ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ চলছে।পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে, গুলি করে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।  সংঘর্ষের এলাকায় রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ৫টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে।এর আগে মিরপুর ১০ নম্বরে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদের তাড়া খেয়ে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।  রাজধানীর বিভান্ন স্থানে এই মুহূর্তে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ চলছে। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সংঘর্ষ চলছে

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলা সংলগ্ন টোলপ্লাজা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর পৌনে ১২টার দিকেও উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল।এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না’; ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’; ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’- এমন নানান ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন।সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীরা একজনকে ব্যাপক মারধর ধরেন। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এছাড়া ১০৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা।এদিকে শনির আখড়ায়ও আন্দোলনকারীরা জড়ো হচ্ছেন। এছাড়া রায়েরবাগে সকাল থেকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে আন্দোলনকারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

রামপুরা পুলিশ বক্সে আগুন, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

রাজধানীর রামপুরা পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে সেখানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দুপুর পৌনে ১২টায় এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত পুলিশ বক্সটি জ্বলছিল। এদিকে, বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২ ও ৩ নম্বর গেটের সামনের সড়কে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।তবে সেখান থেকে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। দুপুর পৌনে ১২টায়ও এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল।ঢাকাসহ সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলছে। এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে ছিল থমথমে পরিবেশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে। সকাল থেকে সকালে রাজধানীর রামপুরা, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, পুরানা পল্টন ও গুলিস্তান এলাকায় যান চলাচল একেবারেই সীমিত। ব্যক্তিগত গাড়িও কম। এসব এলাকার বেশিরভাগ দোকানপাটও বন্ধ দেখা গেছে।

মতিঝিলে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ চলছে

মতিঝিলের শাপল চত্বর এলাকায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বের হয়। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে তারা এ বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।এসময় শিক্ষার্থীদের হটাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। এতে শাপলা চত্বর এলাকায় সব যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে। পুলিশের সঙ্গে ছাত্রলীগের কর্মীরাও যোগ দিয়েছেন। পুলিশের ধাওয়ায় একদল শিক্ষার্থী আশপাশের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়েছেন।