গ্রাহকের সঞ্চয়কৃত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে সপরিবারে পালিয়ে যাওয়া সাতক্ষীরার প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক প্রাণনাথ দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ জুন) ভোরে পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তার প্রাণনাথ দাস সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার টিকেট গ্রামের মৃত জুড়ন দাসের ছেলে। প্রসঙ্গত, গ্রাহকের শত কোটি টাকা লোপাট করে সপরিবারে পালিয়ে ভারতে চলে যান প্রাণনাথ। সেখানে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। ভারতে দীর্ঘ তিন মাস জেল খাটার পর সম্প্রতি দেশে ফেরেন তিনি। খবর পেয়ে শনিবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। এদিকে, প্রাণনাথ দাসকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে শত শত গ্রাহককে থানা চত্বরে ভিড় জমাতে দেখা যায়।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্য মতে, প্রাণনাথ দাস ২০০২ সালে রূপালী ব্যাংক লাইফ ইন্সুরেন্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জেলা ও জেলার বাইরের বেশ কিছু মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেন। এরপর ২০১২ সালে ১২১ নম্বর সমবায় রেজিস্ট্রেশন মূলে প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি খোলেন প্রাণনাথ দাস। সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের স্ত্রী ইতি রানী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বড়ভাই বিশ্বনাথ দাসকে নিযুক্ত করে গত ১০ বছরে ডিপিএস ও ফিক্সড ডিপোজিটের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছ থেকে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। আত্মসাৎকৃত টাকা দিয়ে তিনি পুরাতন সাতক্ষীরায় বাড়িসহ গাভায় চার বিঘা জমি, সদূরডাঙিতে দুটি বাড়ি, বুধহাটায় দুটি অফিস, মুন্সিপাড়ায় চার শতক জমি ও পুরাতন সাতক্ষীরায় দুটি শোরুম খোলেন। জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে প্রাণনাথ সাতক্ষীরা মন্দির সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক, বাস মলিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বিভিন্ন সংগঠনের সম্মানজনক পদ অলঙ্কৃত করেন। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকের শত কোটি টাকা নিয়ে পলাতক প্রাণনাথকে আটক করা হয়েছে। আমাদের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।