ঢাকা, সোমবার ২৪ই জুন ২০২৪ , বাংলা - 

নাটোরের বড়াইগ্রামে এমপি বাহিনীর কান্ড!

ওমর ফারুক খান নাটোর জেলা প্রতিনিধি:

2024-06-15, 12.00 AM
নাটোরের বড়াইগ্রামে এমপি বাহিনীর  কান্ড!

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দুস্থ ও গরীব জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দকৃত চালের ভাগ না পাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় এমপি'র অনুসারীরা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে এসে ভাংচুর চালিয়েছে। এসময় তারা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ ওরফে দুলাল (৫০)কে বেধড়ক মারপিট করে। এতে চেয়ারম্যান দুলাল গুরুতর আহত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ঢুকে প্রকাশ্যে এ সন্ত্রাসী তান্ডব চালায় নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর চিহ্নিত অনুসারীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় জনগণ বনপাড়া-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৪০ মিনিট পর অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষোভকারীরা। আহত চেয়ারম্যান দুলালকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

 

ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশরা জানায়, আকস্মিক এমপি'র লোকজন চেয়ারম্যানের রুমে ঢুকে বাক বিতণ্ডা শুরু করে। এক পর্যায়ে চেয়ার দিয়ে টেবিলের কাঁচ ভেঙে ফেলে ও অন্যান্য চেয়ার ভাংচুর করে। তারা চেয়ারম্যানকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি-লাথি মেরে গুরুতর আহত করে। এ সময় চেয়ারম্যানের চিৎকারে সকলে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত চলে যায়। পরে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

 

আহত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১০ কেজি করে চালের জন্য ২২৪৯ জনের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এসব দুস্থ ও গরীবদের চালের মোট অংশের অর্ধেক ভাগ এমপিকে দিতে হবে, তাদের এমন দাবি আমি প্রত্যাখান করায় এমপি'র অনুসারী আতিক মাস্টার, সিরাজ, রানা, ওয়াজেদ আলী,  আরিফ, জীবন গাজী, ইমরান, রাজীব সহ ১৫/১৬ জন আমার উপর হামলা চালিয়েছে। 

 

এদিকে চেয়ারম্যান দুলালের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় সহস্রাধিক নারী-পুরুষ। দুপুর ১২ টা থেকে পৌঁনে ১টা পর্যন্ত এ অবরোধ চলে। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব, অফিসার ইনচার্জ শফিউল আযম খাঁন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু জানান, ২৪ ঘন্টার মধ্যে চিহ্নিত সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে।