ঢাকা, সোমবার ২৪ই জুন ২০২৪ , বাংলা - 

মনিরামপুরে কেরানির বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ

যশোরের মনিরামপুর থেকে আব্দুল্লাহ আল মামুন

2024-06-15, 12.00 AM
মনিরামপুরে কেরানির বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার হরিদাস কাটি ইউনিয়নের সমস কাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেরানি, শাহরিয়ার হোসেন আলীর বিরুদ্ধে একাধিক বার পরকীয়া করে সংসার ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে। গ্রাম বাসীর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবত শাহরিয়ার হোসেন আলী তার ঘরে বিবাহিত স্ত্রী রেখে পরকীয়া করে তিন থেকে ছয় মাস সংসার পাতার পর তাদের স্বামী সংসার থেকে চুরি করে আনা টাকা পয়সা স্বর্ণ অলংকার হাতিয়ে নিয়ে ডিভোর্স দেন। গ্রাম বাসীর সূত্রে আরো জানা যায় ঘরে প্রথম স্ত্রী  রেখে চান্দুয়া গ্রামের প্রবাসী থাকা মফিজুরের স্ত্রী আয়েশা খাতুনের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয় এক পর্যায়ে অর্থের লোভে মফিজুরের স্ত্রী কে বিবাহ করেন শাহরিয়ার হোসেন আলী। তাকে নিয়ে ছয় মাস সংসার করেন তিনি। পরে আয়শার কাছে থাকা প্রবাস থেকে পাঠানো নগদ অর্থ ও  স্বর্ণ অলংকার হাতিয়ে নিবে এমন সন্দেহ হলে নিজেই  ডিভোর্স দেন হোসেন আলী কে । অন্য দিকে ডিভোর্সের কিছু দিন যেতে না যেতে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোঃ আলামিন হোসেনের মা রুমা খাতুনের সঙ্গে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়ে নগদ নয় লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ তার  মা রুমা খাতুন কে নিয়ে পালিয়ে যায় লম্পট হোসেন আলী।রুমা খাতুনের স্বামী আলতাফ হোসেন গ্রামের মাতব্বরদের কাছে অভিযোগ দিলে তারা ৭/৬/২০২৪ তারিখে গ্রাম্য সালিশের জন্য ডাকেন শাহরিয়ার হোসেন আলী কে। এক পর্যায়ে তিনি হাজির হয়ে দুই দিনের সময় নিয়ে নেয়। গত ৯/৬/২০০৪/ তারিখে তাকে হাজির হওয়ার কথা বললে তিনি সালিশে হাজির হবেন না বলে জানান মাতব্বরদের।এ বিষয়ে গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে গ্রামের সকল পেশাজীবী মানুষের কাছ থেকে গণ স্বাক্ষর নিয়ে তাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন । এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শাহরিয়ার হোসেন আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি কেটে দেন। এবিষয়ে গ্রাম বাসী সালিশের ডাক দিলে  হাজির না হওয়ায় এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংসদ সদস্য এস এম ইয়াকুব আলী সহ উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুর কাছে সুস্থ বিচারের দাবি জানান।