ঢাকা, শনিবার ২৭ই জুলাই ২০২৪ , বাংলা - 

শাহীনের বাংলোবাড়ির পাহারায় জার্মান শেফার্ড

ষ্টাফ রিপোটার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-06-10, 12.00 AM
শাহীনের বাংলোবাড়ির পাহারায় জার্মান শেফার্ড

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পর সামনে আসে শাহীনের বাগানবাড়ি। সেখানে এমপি আনারও একাধিকবার গেছেন বলে জানা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে বসেই শতাধিক সিসি ক্যামেরায় বাড়িতে চোখ রাখেন আনারের এই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আর বাড়ির পাহারায় দায়িত্ব পালন করে তিন জার্মান শেফার্ড।কোটচাঁদপুর শহর থেকে সাড়ে ৫ কিলোমিটার দূরে এলাঙ্গী গ্রামের নির্জন মাঠ। হাতের ডান পাশে গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার যাওয়ার পর মহাসড়ক থেকে সরু পাকা রাস্তা দুই ভাগ। মাঠ পেরিয়ে চারপাশে জঙ্গল, কাঁটাতার ও ফুলেঘেরা বেড়া। ভেতরের আমবাগানের এক প্রান্তে বিলাসবহুল দ্বিতল বাড়ি, যা দূর থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। বাড়ির দ্বিতীয় তলার বেশিরভাগই কাচঘেরা। ঝুলছে বড় বড় পর্দা। আশপাশে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে আর কোনো বাড়ি নেই।

 

দেশে এলে বাংলোবাড়িতে থাকেন শাহীন

বছর তিনেক আগে কোটচাঁদপুর উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামে প্রায় ৩০ বিঘা জমির ওপর গড়ে তোলেন দোতলা এই বাংলো। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে এসে এই বাড়িতেই থাকেন শাহীন। সে সময় বিলাসবহুল গাড়িতে করে প্রভাবশালী লোকজনের আনাগোনা থাকে বাংলোয়। তবে কারা, কেন, কোথা থেকে আসেন, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি স্থানীয়রা।

 

সম্প্রতি শাহীনের বাগানবাড়ি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাকা সড়কের পাশেই বাগানবাড়ির খয়েরি রঙের বিশাল লোহার গেট। গেটের দুই পাশে একাধিক সিসি ক্যামেরা। শুধু গেটেই নয়, বাংলোর চারপাশ ঘিরে রয়েছে শতাধিক সিসি ক্যামেরা। এসব সিসি ক্যামেরায় যুক্তরাষ্ট্রে বসে সার্বক্ষণিক মনিটর করেন আক্তারুজ্জামান শাহীন।

 

বাংলো পাহারায় জার্মান শেফার্ড

মূল গেট দিয়ে বাংলোর ভেতরে ঢুকতেই পাশে পড়ে আমবাগান। বাগানের তিনটি গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা তিনটি বিদেশি কুকুর (জার্মান শেফার্ড)। দূর থেকে অপরিচিত কাউকে দেখলেই কুকুর তিনটি ঘেউ ঘেউ করে ডেকে ওঠে। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা সজাগ হন।জার্মান শেফার্ড তেজি, বুদ্ধিমান কুকুর হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। অ্যালসেশিয়ান নামে খ্যাতি আছে। আকারে বেশ বড় এবং হিংস্র এরা। একসময় ভেড়ার পালের পাহারায় এ জাতের কুকুর ব্যবহার হতো। প্রশিক্ষণ দিলে এর মনিবের জন্য জীবন দিতেও পিছপা হয় না। নিরাপত্তাজনিত কাজের জন্য এরা ওস্তাদ। বিভিন্ন বাহিনীর বিশেষ ইউনিটে এদের দেখা যায়। শাহীনের এ অ্যালসেশিয়ানগুলো কীভাবে প্রশিক্ষিত তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে সামনাসামনি এর ডাক বলে দিচ্ছিল অপরিচিতি কাউকে সহজে ছাড়ার পাত্র তারা নয়। শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও তার বাড়ির পাহারায় অবিচল থাকে এ বিশ্বস্ত তিন রক্ষী।বাংলোয় বিলাসবহুল জীবনযাপনের ব্যবস্থা

 

ভেতরের পাকা রাস্তা দিয়ে প্রায় ৩০০ গজ এগোলে দোতলা বাংলো। বাংলোর চতুর্দিক থেকে কাচ দিয়ে ঘেরা। তার পাশে সুইমিংপুল। সুইমিংপুলের পাশে আরেকটি দোতলা ভবন। এ ভবনটিও কাচঘেরা। বাংলোর ভেতরে রয়েছে পুকুর, গরুর খামার। বারবিকিউ পার্টির জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।

 

এছাড়া নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য রয়েছে ছোট ছোট আলাদা থাকার ঘর। রয়েছে রান্না করার জায়গা। বাংলোবাড়ির মূল গেটের আগে রয়েছে আরেকটি ছোট গেট। সেই গেটের প্রায় ১০০ গজ সামনের লাল ছাউনির নিচে রাখা একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস।নিরাপত্তাকর্মীর দেখা

 

বাড়ির চারদিকে কাঁটাতারবেষ্টিত থাকায় ভেতরে ঢোকার উপায় নেই। গেটে কিংবা আশপাশে কাউকে দেখা যায়নি। বাইরেও দেখা মেলেনি কারও। তবে বাংলোর সামনে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর সাইকেলে করে একজনকে আসতে দেখা যায়। খাবার নিয়ে গেটে ডাকতে শুরু করেন ‘রাজ্জাক ভাই, ও রাজ্জাক ভাই ভাত আনছি, গেট খোলেন’। ডাক শুনে গেট থেকে একটু দূরের ছোট আব্দুর রাজ্জাক জানান, তিনি একজন নিরাপত্তাকর্মী। ৯ হাজার টাকা বেতনে এক বছর ধরে গেটের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করছেন তিনি। আর সাইকেলে আসা ব্যক্তিটির নাম সাজ্জাদ। বাংলোয় মালির কাজ করেন।

 

আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাড়ির মালিক শাহীন মিয়া। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। মাঝেমধ্যে এ বাংলোয় আসেন। শাহীন বাংলোতে এলে তখন দেশ-বিদেশ থেকে মানুষের আনাগোনা বাড়ে। কেউ যখন আসতো তারা গাড়িতে করে আসতো। কালো গাড়িতে কে থাকে আমি বলতে পারতাম না, শাহীনের কথা বললে গেট খুলে দেই। অন্য সময় শাহীনের অনুমতি ছাড়া কেউ বাংলোয় ঢুকতে পারে না। শাহীন অনেক বড়লোক। বাংলোবাড়ি ছাড়াও তার কোটচাঁদপুর ও ঢাকায় বাড়ি রয়েছে। এই বাংলোর সবকিছু সিসি ক্যামেরায় আমেরিকা বসে দেখেন শাহীন।’ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন প্রায় পঞ্চাশোর্ধ্ব একজন ব্যক্তি।

 

২০১৭ সালে বাংলোর জায়গায় ইটভাটা করেন শাহীন

 

স্থানীয়রা জানান, এলাঙ্গী গ্রামের আসাদুজ্জামানের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে চতুর্থ শাহীন। তার বাবা আড়তদারি ব্যবসা করতেন। তার বড় ছেলে সহিদুজ্জামান সেলিম থাকেন কোটচাঁদপুর শহরের বাজারপাড়ার বাড়িতে। তিনি কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র। ব্যবসা করেন। আরেক ছেলে মনিরুজ্জামান মনির ১৯৮৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট শহরে থাকেন, পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ে খুকু থাকেন কখনো কানাডায়, আবার কখনো ঢাকায়। ছোট ছেলে আক্তারুজ্জামান শাহীন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। আরেক মেয়ে এলিন থাকেন ঢাকায়। ২০১৭ সালে দেশে এসে এলাঙ্গী মাঠে বাংলোবাড়ির ওই জায়গায় প্রথমে ইটভাটা স্থাপন করেন শাহীন। লোকসান হওয়ায় তিন বছর পর ওই ভাটা বন্ধ করে দেন।শাহীন কোটচাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং কেএমএইজ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমি থেকে লেখাপড়া শেষে জাহাজে চাকরি নেন। চাকরির দুই বছরের মাথায় ডিভি ভিসা পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ পান শাহীন। যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭৯ ইস্ট সেভেন্থ স্ট্রিট ব্রুকলিন এলাকায় শাহীনের বাড়ি রয়েছে, সেখানকার নাগরিকও তিনি।

 

শাহীনের অপকর্মের বিষয়ে মুখ খুলছেন ভুক্তভোগীরা

 

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের পর কোটচাঁদপুরের মানুষ শাহীনের অপকর্মের বিষয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে। এতদিন মানুষ তার নির্যাতন সহ্য করেছে। দেড় বছর আগে কোটচাঁদপুরে দুটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শাহীন জড়িত বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।এলাকাবাসী বলছেন, বাগানবাড়িতে বিভিন্ন সময় নামিদামি অনেক লোক আসা-যাওয়া করেন। রাতে সেখানে মদের আড্ডা আর সুন্দরী মেয়েদের নিয়ে আমোদ-প্রমোদ করা হয়। শাহীন নিজেই এলাকায় সালিশ-দরবার করতেন। সেখানে তার রায়ই চূড়ান্ত হতো। কেউ বিরোধিতা করলে তাকে হয়রানি করার অভিযোগও রয়েছে। তবে শাহীন এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন, তার বিরুদ্ধে থানা-পুলিশে অভিযোগ দিয়ে লাভ হতো না। শাহীন গত দেড় দশকে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।জানা যায়, ঝিনাইদহের গেদে সীমান্ত, জীবননগর, মহেশপুর জিন্নানগর, সামান্তা, মাটিলা, যাদবপুর, সামুন্দা বাগাডাঙ্গা, শ্যামকুড় সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের সাবস্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা হয় এ বাংলো। পাচারের সোনা এনে জড়ো করা হতো এ বাড়িতেই। পরে কোটচাঁদপুরের কিছু নির্দিষ্ট লোকজন সোনার চালান নিয়ে সীমান্তে চলে যেত। শীর্ষ মাদক কারবারিরাও বাংলোতে যাতায়াত করতেন।

 

নাম না প্রকাশের শর্তে কোটচাঁদপুরের এক বাসিন্দা  বলেন, ‘শাহীনের ভাই পৌর মেয়র। তার ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচন না করায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচন করায় শাহীনের লোকজন আমার হাতের কব্জিতে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে। এতে কব্জির প্রায় অর্ধেক কেটে যায়। শাহীনের ভয়ে মামলা করতেও সাহস পাইনি।’

 

নায়িকারাও যেতেন শাহীনের বাংলোয়

 

আক্তারুজ্জামান শাহীনের বাংলোবাড়িতে মাঝে-মধ্যে গাড়ি নিয়ে অজ্ঞাতপরিচয় লোকজনকে আসা-যাওয়া করতে দেখেছে গ্রামবাসী। এই তালিকায় ঢাকাই ছবির নায়িকারাও রয়েছেন- এমনটাই জানিয়েছেন গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাঙ্গী গ্রামের একজন বাসিন্দা  বলেন, শাহীন যখন বাংলোতে আসতেন তখন ঢাকা থেকে অনেক নায়িকা আসতেন। তাদের নিয়ে রাতভর গান-বাজনা আর খাওয়া-দাওয়া হতো। সে সময় অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিরা যাতায়াত করতেন।

 

বাংলোতে যাওয়া ব্যক্তিদের তালিকা করছে পুলিশ

 

বাংলোর চারপাশ ও ভেতরের অন্তত ১০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। ফুটেজে চালান পাচার, নায়িকা, রাজনীতিবিদ ও আমলাদের অবাধ যাতায়াতের তথ্য পাওয়া গেছে। যারা ওইসব বাংলোতে আসা-যাওয়া করেছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা।

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলে প্রায়ই শাহীন থাকতেন বাংলোতে। তিনি আসার পর মাঝেমধ্যে গাড়িতে করে আসা-যাওয়া করতেন অনেকে। বাংলোতে রয়েছে নিজস্ব বাবুর্চি। রান্না করে চলতো খাওয়া-দাওয়া। রাতে মাঝেমধ্যে শোনা যেত গান-বাজনা।

 

নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা

 

এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান  বলেন, ‘আমার নির্বাচনের সময় মানিক নামে একজনকে আক্তারুজ্জামান শাহীন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে দাঁড় করিয়ে দেন। নির্বাচনে তাকে জয়ী করার জন্য শাহীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে আসেন কোটচাঁদপুরে। এরপর সাধারণ মানুষকে টাকা-পয়সা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। তবে এলাকার জনগণ শাহীনের প্রার্থী মানিককে ভোট দেয়নি।’তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে সম্পন্ন হয় বাংলোবাড়ি। ওই এলাকায় বিদ্যুতের লাইন ছিল না। শাহীন প্রভাব বিস্তার করে বিদ্যুৎ অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার বাংলোবাড়িতে বিদ্যুতের লাইন নেন। বাংলোবাড়িতে সারারাত গান-বাজনা হতো। এতে গ্রামবাসীও অসন্তুষ্ট ছিল। কেউ কোনো প্রতিবাদ করতো না।’এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে বেশিদিন থাকতো না শাহীন। বেশিরভাগ ঢাকা ও বাংলোবাড়িতে এসে থাকতেন। তার বাংলোতে নায়িকাসহ অনেক লোকজন আসতো বলে শুনেছি। এছাড়া স্বর্ণ ব্যবসার কথা সম্প্রতি শুনেছি। লোকমুখে আরও অনেক অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতের কথাও শোনা যাচ্ছে।’

 

কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আল মামুন বলেন, ‘আমি এখানে যোগদান করেছি গত ৮-৯ মাস হলো। এই সময়ের মধ্যে শাহীনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থানায় কেউ দেয়নি। আমি নতুন জয়েন করে কোটচাঁদপুর এলাকা ঘুরেছি। ঘুরতে ঘুরতে শাহীনের বাংলোতে একদিন গিয়েছিলাম স্ত্রী-সন্তানসহ। তখন তিন-চারজন কর্মচারী ছিল। তারা চা খেতে দিলো। এই থানায় যোগদানের পরে শাহীনের সঙ্গে আমার একদিন সরাসরি দেখা হয়েছিল।’

 

ওসি বলেন, ‘শাহীনের স্বর্ণ ব্যবসার কোনো তথ্য নেই। স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযান করতে গিয়ে আমাদের অনেকে হয়রানির স্বীকার হয়েছে। অনেক পুলিশ সদস্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা অনেক ধূর্ত।’

কারণ হিসেবে ওসি উল্লেখ করেন, ‘এক কেজি স্বর্ণসহ গ্রেফতার হলে তখন আসামিরা মনে করে তারা তো ফেঁসে যাচ্ছে, তখন আসামিরা বলে দুই কেজি স্বর্ণ ছিল, এককেজি পুলিশ গায়েব করে দিয়েছে। যতগুলো স্বর্ণ মামলায় পুলিশ সদস্যদের শাস্তি হয়েছে সবই এ ধরনের অভিযোগের কারণে।’কোটচাঁদপুর থানার ওসি আরও বলেন, ‘এমপি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কেন্দ্র করে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিত সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’