নাটোরের লালপুরে বিয়ের দাবিতে পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করেছে এক নারী।বৃহস্পতিবার (৬জুন২০২৪) দুপুর থেকে উপজেলায় বাঁকনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায় বাকনা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে পরকীয়া প্রেমিক জয়নালের বাড়িতে বিয়ের দাবি ও স্ত্রী স্বীকৃতিতে অবস্থান নেয় ওই একই গ্রামের ২সন্তানের জননী ওই নারী।এসময় জয়নালের পরিবারের লোকজন ওই নারীকে টেনে হেঁচড়ে বাড়ির ভিতর থেকে বাহিরে বের করে দেন। নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই গ্রামের একাধিক জন জানান এর আগেও এই নারীর সঙ্গে জয়নালের অনৈতিক সম্পর্কে বিষয়ে পারিবারিকভাবে মীমাংসা করা হয়। গতরাতে জয়নালের বাড়িতে তার স্ত্রী না থাকায় মুঠোফোনে ওই নারীকে তার বাড়িতে ডাকে। এ সময় ওই নারীর পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে তাদেরকে অনৈতিক অবস্থায় আটক করে। এসময় অভিযুক্ত জয়নালকে তার পরিবারের লোকজন কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।অভিযুক্ত জয়নালের ভাই আব্দুল কুদ্দুস বিষয়টি অস্বীকার করে জানান আমরা সকাল ৯ টার দিকে লোকমুখে শুনেছি। আমার পারিবারের কেহ বিষয়টি সম্পর্কে জানেনা। এসময় আব্দুল কুদ্দুস এর ছেলে তারেক সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহের কাজে বাধা সৃষ্টি করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই নারী জানান চার বছর ধরে জয়নালের সঙ্গে তার সম্পর্ক। তার দুই সন্তানের ক্ষতি করবে বলে তাকে হুমকি দিয়ে ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে এর আগে একাধিক বার তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। গত রাতে তার সন্তানদেরকে ক্ষতি করবে বলে পুনরায় হুমকি দিয়ে জয়নাল শাররীক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এমনকি তার বাড়িতে আসতে বাধ্য করে। ওই নারী আরো জানান জয়নাল আমার সংসার ভেঙে দিয়েছে এমতাবস্থায় আমার পরিবার মেনে না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে দুপুর থেকে আমি বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান করছি। আমার স্ত্রীর অধিকার না দিলে এখান থেকে কোথাও যাব না। এমনকি আমার সাথে কোন অঘটন ঘটলে তার জন্য জয়নাল ও তার পরিবার দায়ী থাকবে জানান ওই নারী।অভিযুক্ত জয়নাল আত্মগোপনে থাকায় এবিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এব্যাপারে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান বিষয়টি শুনেছি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।